১. শেন ওয়ার্ন (Shane Warne):
ক্রিকেটারদের যৌন কেলেঙ্কারি বিতর্কে শেন ওয়ার্নের নাম সব থেকে বেশিবার ওঠে এসেছে। তখন ২০০০ সাল। স্টিভ ওয়ার অস্ট্রেলিয়া দলের ডেপুটি ছিলেন ওয়ার্ন। সেই সময়ে ব্রিটিশ নার্স ডোনা রাইটকে পাঠানো ওয়ার্নের যৌন উত্তেজনামূলক ফোনবার্তা ফাঁস হয়। সামনে আসে একাধিক অশ্লীল মেসেজও। যার ফলস্বরূপ সহ অধিনায়কের পদ খোয়াতে হয় ওয়ার্নকে। এর ঠিক তিন বছর পরে আবারও যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ান ওয়ার্ন। ২৫ বছরের এক মডেলের সঙ্গে আপত্তিকর অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। পরবর্তীতে সেই মডেল আবার শেনের ফিটনেসের ভূয়সী প্রশংসা করেন। ২০০৬ সালে ফের এক বার যৌন বিতর্কে উঠে আসে ওয়ার্নের নাম। এমনকী কেরিয়ার শেষ করেও নারী কেলেঙ্কারির ‘নেশা’ ছাড়তে পারেননি ওয়ার্ন।
advertisement
২. কেভিন পিটারসন (Kevin Pietersen):
ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসনের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার ভ্যানিসা নিমোর অভিযোগ ছিল যে, পিটারসন তাকে দিনের মধ্যে বহুবার যৌনমিলনের জন্য জোর করতেন। এই অভিযোগে তোলপাড় হয়েছিল ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মহলে।
৩. মাইক গ্যাটিং (Mike Gatting):
ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইক গ্যাটিং লুইস শিপম্যান নামক এক মহিলার সঙ্গে হোটেলের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন। যদিও তিনি এ অভিযোগ অস্বীকার করেন। লুইস ছিলেন একজন মদ বিক্রেতা, যার সঙ্গে গ্যাটিংয়ের ঘনিষ্ঠতা সংবাদপত্রে শিরোনাম হয়েছিল।
৪. ডারেল টাফি (Daryl Tuffey):
নিউজিল্যান্ডের মিডিয়াম পেসার ডারেল টাফির নামও জড়ায় বিতর্কে। ২০০৫ সালে এক ২৩ বছর বয়সী নারীর সঙ্গে তার সেক্স ভিডিও ফাঁস হয়। যদিও সেই নারী পরে দাবি করেন তিনি টাফিকে চেনেন না। টাফিও অভিযোগ অস্বীকার করেন।
৫. সাকলাইন মোস্তাক (Saqlain Mushtaq):
পাকিস্তানের প্রাক্তন স্পিনার সাকলাইন মোস্তাকের বিরুদ্ধে ১৯৯৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার এক স্ট্রিপ ক্লাবে যৌন কেলেঙ্কারিতে জড়ানোর অভিযোগ ওঠে। সে সময়ের কিছু ছবি প্রকাশ্যে আসায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড সমালোচনার মুখে পড়ে।
৬. শহিদ আফ্রিদি (Shahid Afridi):
২০০০ সালে করাচির এক হোটেলে একাধিক তরুণীর সঙ্গে অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা পড়েন শহিদ আফ্রিদি এবং আরও কয়েকজন পাক ক্রিকেটার। যদিও পরে তারা দাবি করেন, মেয়েরা অটোগ্রাফ নিতে এসেছিল, এবং পরে ঘটনাটি অতিরঞ্জিত করা হয়।
৭. নাথান লায়ন (Nathan Lyon):
অস্ট্রেলিয়ান স্পিনার নাথান লায়নের বিরুদ্ধে তার প্রাক্তন স্ত্রী মেল ওয়ার্নিং অভিযোগ তোলেন যে, মোটা হয়ে যাওয়ার কারণে তাকে ডিভোর্স দেন লায়ন। এরপর থেকে তিনি এম্মা ম্যাকার্থির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান, যা জনসমক্ষে আসার পর ব্যাপক সমালোচনা হয়।
৮. মহম্মদ শামি (Mohammed Shami):
ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামির বিরুদ্ধে তার স্ত্রী হাসিন জাহান অভিযোগ করেন, শামির একাধিক নারীর সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে। হাসিনের দাবি, এ নিয়ে প্রতিবাদ করলে শামি তার ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন। এই অভিযোগে ভারতীয় ক্রিকেট মহল কেঁপে ওঠে।
৯. ক্রিস গেইল (Chris Gayle):
ওয়েস্ট ইন্ডিজের তারকা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইলের নাম বহুবার যৌন কেলেঙ্কারিতে উঠে এসেছে। ২০১২ সালে টি-২০ বিশ্বকাপের সময় তিনজন ব্রিটিশ নারীর সঙ্গে হোটেলের ঘরে আপত্তিকর অবস্থায় ধরা পড়েন তিনি। এছাড়াও মহিলা সাংবাদিকদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
১০. আসাদ রউফ (Asad Rauf):
পাকিস্তানের প্রাক্তন আন্তর্জাতিক আম্পায়ার আসাদ রউফের বিরুদ্ধে এক ভারতীয় মডেল অভিযোগ করেন যে, তিনি বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাকে যৌন সম্পর্কের দিকে ঠেলে দেন। পরবর্তীতে তাদের কিছু ঘনিষ্ঠ ছবি ভাইরাল হয়ে যায়। যদিও রউফ অভিযোগ অস্বীকার করেন, তবে ততক্ষণে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল।
ক্রিকেটারদের ব্যক্তিগত জীবন যেমন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে, তেমনি বিতর্ক তাদের পিছু ছাড়ে না। খেলোয়াড়দের দায়িত্বশীল আচরণ শুধু মাঠেই নয়, মাঠের বাইরেও আশা করে তাদের অনুরাগীরা। এইসব বিতর্ক শুধু তাদের ব্যক্তিগত জীবনকেই প্রভাবিত করে না, বরং পুরো দলের ও দেশের ভাবমূর্তিও নষ্ট করে। তাই তারকাখ্যাতির সঙ্গে দায়িত্বশীলতা যে জরুরি