এই তৃণমূল প্রার্থীর এক ঝলক দেখতে জড় হওয়া উৎসাহী জনজোয়ারের সঙ্গে হাত মেলানো এবং উষ্ণ অভিবাদনের মধ্যে দিয়ে, ইউসুফ পাঠান কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেছেন, ‘‘আমি আজ যে ভালবাসা অনুভব করছি, তা আমি কলকাতা নাইট রাইডার্সের খেলোয়াড় হিসাবে যা পেয়েছি তা একইরকম। তখন আমি ম্যাচের সময় মাঠে থাকতাম কিন্তু আজ আমি ভাগ্যবান যে মানুষের মধ্যে থেকে এই ভালবাসা অনুভব করছি।’’
advertisement
আরও পড়ুন– সকাল থেকেই ফের অভিযানে ইডি, তল্লাশি চলছে এক ব্যবসায়ীর বাড়ি-সহ কলকাতার একাধিক জায়গায়
শান্তির প্রতীক হিসেবে, ইউসুফ পাঠান ভাষণ দেওয়ার আগে সাদা পায়রা উড়িয়ে দেন। সমস্ত বিরোধী রাজনৈতিক দলের বিরুদ্ধে একটি দুর্দান্ত ইনিংসের জন্য তার প্রস্তুতির কথা তুলে ধরে, তৃণমূল প্রার্থী মন্তব্য করেন, ‘‘বোলার যত দ্রুত, আমি তত বেশি ব্যাটিং-এর চ্যালেঞ্জ উপভোগ করি। আমার এখানে একটি দুর্দান্ত দল আছে যারা একে অপরকে সমর্থন করে ঠিক যেমন আমরা ক্রিকেটে করি। আমি এখানে ভাল প্রতিপক্ষের মুখোমুখি হতে পেরে উত্তেজিত।’’
বাংলার প্রতি নিজের ভালবাসা প্রকাশ করে ইউসুফ পাঠান দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, ‘‘গুজরাত আমার জন্মভূমি কিন্তু এটা আমার কর্মভূমি। এখানে আমি অনেক কাজ করতে এসেছি। খেলা হবে।’’ ইউসুফ পাঠান জনগণের কল্যাণে ইতিবাচক পরিবর্তনের ওপর জোর দেন। ‘‘সময় পরিবর্তিত হয়েছে, এবং পরিবর্তন হয় ভালোর জন্য। জনগণ তাদের সুবিধার জন্য এই পরিবর্তনগুলিকে স্বাগত জানাবেন ৷’’ আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের বিষয়ে আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করে তিনি এমনটাই এদিন বলেন।
বিরোধীদের ‘বহিরাগত’ শব্দের সমালোচনা শেষ করে, ইউসুফ পাঠান জবাব দেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি গুজরাতের বাসিন্দা, তবুও বারাণসী থেকে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এটি বাংলা আমার বাড়ি, এবং আমি এখানে থাকতে এসেছি।’’ ক্রিকেট লেজেন্ড নির্বাচিত হয়ে বহরমপুরে একটি স্পোর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতিও দেন। ‘‘আমরা বহরমপুরে রেশম শিল্পকে বিশ্বব্যাপী মঞ্চে উন্নীত করব। উপরন্তু, আমরা এখানে একটি স্পোর্টস একাডেমি প্রতিষ্ঠা করব ৷’’ সংবাদ সম্মেলনের সময় তৃণমূল প্রার্থী ঘোষণা করেন।
ইউসুফ পাঠান বাংলার সঙ্গে তাঁর মানসিক সংযোগ পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, ‘‘যেখানে মানুষের সাথে হৃদয়ের সংযোগ থাকে সেখানে কোনও ভাষার বাধা থাকতে পারে না। আমরা যখন মন বুঝতে পারি তখন ভাষা কখনোই সমস্যা হতে পারে না ৷’’ তিনি তাঁর বক্তৃতা শেষ করার পর স্লোগান দেন…জয় বাংলা!