নানুরের পাকুড়হাঁস গ্রামের বাসিন্দা ১৯ বছরের ওই যুবকের নাম অভিজিৎ মেটে৷ হায়দ্রাবাদের একটি সংস্থায় কাজ করতেন অভিজিৎ৷ দুর্গা পুজোর ছুটিতে বাড়িতে এসেছিলেন তিনি৷ ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা গ্রামে৷
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, একাদশীর রাতে গ্রামের প্রসিদ্ধ সিংহবাহিনী দুর্গা প্রতিমার নিরঞ্জন উপলক্ষে অভিজিতের সঙ্গে পাড়ার কয়েকজন যুবকের বচসা বাঁধে। মুহূর্তের মধ্যে তা হাতাহাতি ও কিল ঘুষিতে গড়ায়। যদিও সেদিনকার মতো ঘটনাটি মিটে যায়, কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ারও প্রয়োজন পড়েনি।
advertisement
কিন্তু শনিবার রাত থেকে তীব্র পিঠের যন্ত্রণা ও শ্বাসকষ্ট অনুভব করতে থাকেন অভিজিৎ। ভোরে তাঁকে নানুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই রবিবার সকালে মৃত্যু হয় তাঁর।
অভিজিতের পরিবারের অভিযোগ, নিরঞ্জনের রাতে হওয়া বেধড়ক মারধরের ফলেই অভিজিতের মৃত্যু হয়েছে। অন্যদিকে অভিযুক্তদের বাড়ির মহিলাদের দাবি, “বড়সড় মারামারি হয়নি, উভয়পক্ষের মধ্যে শুধু ধস্তাধস্তিই হয়েছে। মারা যাওয়ার মতো কোনও ঘটনা ঘটেনি।” তবে তাঁরা পুলিশি তদন্ত ও ময়নাতদন্তের ফলাফলের উপর আস্থা রাখছেন বলে জানান।
মৃত যুবকের পিসোমশাই মধুসূদন মেটে বলেন, “ছয় জনের বিরুদ্ধে নানুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।” তবে রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কাউকে আটক বা গ্রেফতার করেনি পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা ঘটনা তদন্ত করে দেখছে তারা৷