জানা গিয়েছে, সকালবেলা মৎস্যজীবীরা ব্যস্ত ছিলেন ট্রলার প্রস্তুত করতে, কারণ সমুদ্রে মাছ ধরার উপর জারি থাকা ব্যান্ড পিরিয়ড শেষ হচ্ছে। সেই অনুযায়ী বহু মৎস্যজীবী শঙ্করপুর বন্দরে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁদের ট্রলারে ওঠার জন্য।
ইঞ্জিন সারানো হয়েছিল সদ্য! ত্রুটি প্লেনের নয়…১৯ জন মৃত যাত্রীর DNA টেস্টের পর বড় তথ্য ফাঁস!
advertisement
ইউটিউব দেখে খেলনা গাড়ি বানাতে গিয়ে এ কী সর্বনাশ মেধাবী কিশোরের! আর্ত চিৎকার মায়ের…নিমেষেই সব শেষ!
এই সময় “আজমিরা” নামক একটি ট্রলারে ওঠার চেষ্টা করছিলেন শান্তা মুর্মু। হঠাৎ করে ঠেলাঠেলি শুরু হয় এবং ব্যালান্স হারিয়ে সোজা সমুদ্রের জলে পড়ে যান ওই যুবক। সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় খোঁজখবর। কিন্তু সেই সময় জোয়ারের জল ছিল অত্যন্ত প্রবল। ফলে কোনওরকমে তাকে তৎক্ষণাৎ উদ্ধার করা যায়নি।
দীর্ঘ তল্লাশির পর মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিশ ও স্থানীয় মৎস্যজীবীরা মিলিতভাবে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। পরবর্তীতে শান্তার দেহ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
মৎস্যজীবী মহলে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ব্যান্ড পিরিয়ড শেষ হতেই যখন তাঁরা জীবিকার আশায় সমুদ্রে যাওয়ার তোড়জোড় করছিলেন, তখন এই মৃত্যু সকলকে গভীরভাবে আঘাত করেছে।
স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে, পাশাপাশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করার দাবিও উঠছে মৎস্যজীবীদের তরফে। এ ধরনের দুর্ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে, সে বিষয়ে বন্দরের নজরদারি আরও কড়া করা দরকার বলে মনে করছেন অনেকে।