সেরকমই আউশগ্রাম দুই নম্বর ব্লকের আকর্ষণীয় একটি জায়গা হল আদুরিয়া জঙ্গল। স্থানীয় ও বনদফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েক বছর আগে কাঁকসার জঙ্গলে, দেউলে পরীক্ষামূলক ভাবে কয়েকটি ময়ূর ছেড়েছিল বন দফতর। পরবর্তীতে উপযুক্ত পরিবেশ পেয়ে সেই ময়ূর বংশবিস্তার করেই আশেপাশের জঙ্গলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর সেইমত আদুরিয়া জঙ্গলেও স্থানীয় বাসিন্দারা ময়ূর দেখতে পেয়েছেন বলে জানাচ্ছেন।
advertisement
আরও পড়ুন: রক্তে হিমোগ্লোবিন কম? এই পাঁচটি খাবার খান! শরীরে দ্রুত বাড়বে রক্ত, ভরসা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা!
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রতি বছর শীতের মরশুমে ঝাঁকে ঝাঁকে ময়ূর দেখতে পাওয়া যায় এই এলাকায়। এক একটি ঝাঁকে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ টি ময়ূরের দেখা মেলে। ইতিমধ্যে বাইরে থেকেও অনেকেই আউশগ্রাম ঘুরতে এসে ময়ূর দেখার জন্য এই জায়গায় আসছেন। খোলা পরিবেশে প্রকৃতির মাঝেই দেখা মিলছে ময়ূরের। মাঝে মধ্যে লোকালয়ে সাধারণ মানুষের বাড়িতেও ময়ূর প্রবেশ করছে। স্থানীয়রাও এই কারণে অনেক খুশি হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: সীতাভোগের গায়ে নলেন গুড়ের প্রলেপ, শীতে তৈরি হচ্ছে নলেন গুড়ের সীতাভোগ, একবারে স্পেশ্যাল
প্রেমগঞ্জ, কুনুর নদীর ধারে রাঙাখুলা, আদুরিয়া, হেদোগড়িয়া এলাকাগুলিতে সকাল ও বিকেল দু’বারই ময়ূরের দর্শন মিলছে। পর্যটকরা এসে ময়ূর দেখতে পেয়ে অনেকটাই আনন্দিত হচ্ছেন। সবমিলিয়ে ছুটির দিনে ঘুরে নেওয়া যেতে পারে পূর্ব বর্ধমানের এই জঙ্গল। প্রকৃতির মাঝে জঙ্গলে ময়ূর দেখে মুগ্ধ হবে মন। ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একদম আদর্শ এই জায়গা।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী