সাধারণত নৌকা বাইচ পুরুষদের প্রতিযোগিতা হিসেবেই পরিচিত। কিন্তু এই ব্যতিক্রমী আয়োজনে পুরুষদের পাশাপাশি মহিলারাও সগর্বে অংশ নেন। এতে অংশ নেওয়া এক মহিলা প্রতিযোগী জানান, ‘আমরা এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে প্রমাণ করতে চেয়েছি, কোনও কাজেই আমরা পিছিয়ে নেই। পুরুষদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমরাও সব ধরণের কাজ করতে পারি’।
আরও পড়ুনঃ বাদুড়িয়ায় গৃহবধূর মৃত্যু! মারধর করে মুখে…! জামাইয়ের বিরুদ্ধে খু*নের অভিযোগ মৃতার বাবার
advertisement
বাংলার এই প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে সুজন, সঞ্জীব, রতন ও প্রীতমের মতো একদল ছাত্র-যুব এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেন। তাঁদের এই প্রচেষ্টা স্থানীয় সমাজসেবী সঞ্জীব পালের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করে। হালিশহর, হাড়োয়া, সন্দেশখালি, স্বরূপনগর, বাদুড়িয়া সহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৩০টি দল এই প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। নৌকা বাইচ দেখতে সোনাই নদীর দুই পাড়ে প্রায় ২০-২৫ হাজার মানুষের ঢল নামে। তৈরি হয় এক উৎসবের আমেজ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই প্রতিযোগিতার অন্যতম উদ্যোক্তা রতন বিশ্বাস জানান, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে এই বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে আসছি। এর প্রধান উদ্দেশ্য হল আমাদের প্রাচীন ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখা এবং নতুন প্রজন্মের কাছে তা তুলে ধরা’। প্রতিযোগিতার শেষে বিজয়ীদের ঐতিহ্যবাহী বসিরহাটের মুন্সি গামছা দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়। এই ধরণের উদ্যোগ কেবল একটি খেলাকে বাঁচিয়ে রাখে না, এটি মানুষের মধ্যে একতা ও সম্প্রীতির বন্ধনকেও সুদৃঢ় করে বলে মনে করছেন অনেকে।