এরপর ওই মহিলা ছেলেকে নিয়ে পাঁচলা থানার সাহাপুর এলাকায় তাদের নিজেদের কেনা বাড়িতে থাকার জন্য আসেন। সেখানেও রাতে প্রতিবেশী মহিলারা তাদের ওপর চড়াও হয় । প্রতিবেশীরা বাড়িতে থাকতে বাধা দিলে ওই মহিলা, তার ছেলে এবং তার পরিবারের লোকজন সারারাত স্থানীয় শ্মশানে কাটান।
সকালে খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই মহিলা তার ছেলের স্বাস্থ্য কেন্দ্রে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান, তাদের শরীরে কোনও করোনা উপস্বর্গ না থাকায় চিকিৎসকরা তাদের হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকার পরামর্শ দেন। পাঁচলা ও রাজাপুর থানার থেকে পুলিশের পক্ষ থেকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেওয়া হলেও রাজাপুর থানা সাহাপুর এলাকার বাড়িতে নিয়ে গেলে এলাকাবাসীর বাধার মুখে পড়তে হয় ৷ তবে শেষমেশ পুলিশ প্রশাসনের সাহায্যে ঘরে ঢুকতে সক্ষম হয় পরিবারটি | মহিলার স্বামী দিল্লিতে স্বর্ণ শিল্পী হিসেবে কাজ করতেন, কয়েকবছর আগেই স্বামী মারা যাওয়ায় সেখানেই কাজ করতেন মহিলা ৷ লকডাউনের জেরে কাজ হারান মহিলা তারপরেই ছেলেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নেন ৷
advertisement
