পাপিয়া কর। বয়স ৩৪। কিংবা আরেকটু বেশী অথবা কম। সাধারণ মধ্যবিত্ত ঘরের গৃহবধূর বয়স আর কেই বা মনে রাখেন? তারা মনে থাকেন কাজে। পাপিয়া বাড়ি নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জে। যিনি আসলে বাস্তবের দশভূজা।
ছোটবেলার ভালবাসা আজ নেশা। সমাজসেবার নেশা। স্বামী,সন্তান,পরিবার সামলে বেড়িয়ে পড়েন রোজ। ব্যাগে থাকে রান্না করা খাবার। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন হোক বা স্টেশনের ভবঘুরে। কাউকে হাসপাতালে নিয়ে যান। কারও জন্মদিন পালন করেন স্টেশনে। কখনও খাবার কিনে দেন। কখনও জামাকাপড়। কয়েকজন পথশিশুর লেখাপড়ার দায়িত্বও তাঁর। সবটাই করেন নিজের সামান্য সঞ্চয়ে।
advertisement
সমাজসেবার ফাঁকে, ফাঁকে মূর্তিও গড়েন পাপিয়া। এবার তৈরি করেছেন এক ফুট চার ইঞ্চির ছোট্ট দুর্গা মূর্তি। সুপারি দিয়ে তৈরি। মূর্তি বিক্রির টাকাতেও সেই সমাজসেবা।
দীর্ঘদিনের লকডাউন। দিন-আনা-দিন-খাওয়া মানুষেরা অথৈ জলে। এই সময়েই আরও বেশি ব্যস্ত পাপিয়া।
করোনা পরিস্থিতিতে কয়েকমাস ধরেই দেখা নেই প্রিয়মানুষগুলোর। সামনে পুজো। তাঁদের নিয়ে ঘুরতে যাওয়া,নতুন জামাকাপড় দেওয়া এবার বোধহয় হবেনা । মন খারাপ পাপিয়ার। এ দুর্গা স্বপ্ন দেখে। এ দুর্গা বাঁচতে শেখায়। এই দুর্গা বাঁচে নিজের শর্তে।