সাতাশে জানুয়ারি নেকড়ের হামলায় জখম হন জামবনির বাঁকশোল গ্রামের তিনজন। সাত-ই জানুয়ারি মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত্যু হয় একুশের বছরের ললিত হেমব্রমের। বাড়ির একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে ভেঙে পড়েছে পরিবার।
ঘটনার পর থেকে থমথমে ঝাড়গ্রামের জঙ্গল-ঘেরা গ্রামগুলি। নেকড়ের ভয়ে জড়সড় বাঁকশাল, ভালুকা, কুমড়ি, চালতা, বড়শোল, বাহিরগ্রম, বেনেগেড়িয়া। আতঙ্কে ঘরবন্দি গ্রামবাসীরা। সন্ধ্যায় তো বটেই... দিনের বেলাতেও ঘর থেকে বেরতে ভয় পাচ্ছেন তাঁরা। পুরুষরা হাতে লাঠি নিয়ে ঘোরাফেরা করছেন। সংসারের তাগিদে জঙ্গলে গেলে দলবন্ধভাবে যাচ্ছেন মহিলারা। জঙ্গলে গরু চরানো প্রায় বন্ধ। তাঁদের দাবি, প্রায় প্রতিদিনই নেকড়ের দেখা মিলছে বিভিন্ন গ্রামে ।
advertisement
অবিলম্বে নেকড়ে ধরার ব্যবস্থা করুক বন দফতর। দাবি গ্রামবাসীদের।।
ঝাড়গ্রাম বনবিভাগের ডিএফও বাসবরাজ হোলেইচি বলেন , নেকড়ের খোঁজে তল্লাশি চলছে। সন্ধ্যার পর গ্রামবাসীদের জঙ্গলে যেতে নিষেধও করেন তিনি। এদিকে নেকড়ের সঙ্গেই আতঙ্ক বাড়িছে দলমা থেকে আসা সাতটি হাতির দল।