জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, '' জেলায় অল্প কিছু বাড়িতে শৌচালয় তৈরির কাজ বাকি রয়েছে। উপভোক্তাদের নাম আমাদের কাছে রয়েছে। তাঁদের ওই সময়ের মধ্যে শৌচালয় তৈরি করে দেওয়া হবে। প্রতিটি শৌচালয় তৈরিতে ১২ হাজার ৯০০ টাকা খরচ হবে। সরকার ১২ হাজার টাকা দেবে। উপভোক্তাকে ৯০০ টাকা দিতে হবে।''
জানা গিয়েছে, জামালপুরের মতো কয়েকটি ব্লকে ১০০ শতাংশ বাড়িতেই টয়লেট তৈরি হয়েছে। আউশগ্রাম-১ ও ২-এর মতো কয়েকটি ব্লকে কিছু বাড়িতে শৌচালয় তৈরি হয়নি। ১৫ জানুয়ারির মধ্যে নির্মাণ কাজ শেষ করতে হবে। চলতি মাসের মধ্যে জিও ট্যাগিং সহ সমস্ত নথি রাজ্যে পাঠাতে হবে। শৌচালয় তৈরির অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন ঠিকাদার সংস্থাকে দিয়ে কাজ করানো হবে।জেলায় একাধিক সংস্থা এই কাজ করেছে।
advertisement
আউশগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলি বলেন, '' কিছু বাড়িতে শৌচালয় তৈরি বাকি রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হয়ে যাবে। নির্মাণ কাজ শেষ করতে বেশি সময় লাগে না। সরকারি গাইড লাইন মেনেই শৌচালয়গুলি তৈরি হবে।''
প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় যে শৌচাগরগুলি তৈরি হচ্ছে তার মাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন উপভোক্তারা। তাঁরা বলছেন, এইসব শৌচাগারগুলি ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ছে অল্প দিনের মধ্যেই। কোনওরকমে সেগুলি তৈরি হওয়ায় কয়েক বছরের মধ্যেই তা ভেঙে পড়ছে। বিরোধীদের অভিযোগ, কোন রকমে কাজ ছেড়ে টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদারদের সঙ্গে তৃণমূল নেতাদের যোগ সাজশ রয়েছে। তাদের কাছ থেকে কাঠ মানি খাচ্ছেন তৃণমূল নেতারা। তৃণমূলের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, পুরোপুরি প্রশাসনের নজরদারিতেই কাজ হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ ভিত্তিহীন।