এখনও একাধিক খিলানযুক্ত এই রাজপ্রাসাদ ঘুরে দেখলে আপনি মুগ্ধ হবেন। পুরানো দিনের অ্যাম্বিয়েন্স উপভোগ করবেন এখানে। রয়েছে পায়রার বক বকম আওয়াজ, ডানা ঝাপটার শব্দ এমনকি পুরানো দেওয়ালে গজিয়ে ওঠা ছোট ছোট লতাপাতা। রাজপ্রাসাদের মধ্যে থাকা রাজাদের নানা জিনিস আপনাকে অবাক করবে। পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের মনোহরপুরে রয়েছে মনোহরপুর রাজবাড়ি। বেশ কয়েকশো বছর পুরানো এই বাড়ি। এখনও বংশ পরম্পরায় বেশ কয়েকটি উত্তরপুরুষের পরিবার এখানে থাকেন। বাড়ির সামনে রয়েছে ভগ্নপ্রায় নাট্যশালা। ভেতরেও রাজবাড়ির বিভিন্ন অংশ দেখতে পাবেন আপনিও। মেদিনীপুর শহর থেকে মাত্র ৭০ কিলোমিটার দূরে বাংলা ও ওড়িশা সীমান্ত এলাকা দাঁতনের মনোহরপুরে রয়েছে প্রাচীন রাজবাড়ি। রয়েছে রাজবংশের প্রতিষ্ঠিত ভগ্নপ্রায় নাট্যশালাও।
advertisement
সপ্তাহান্তে নিজেদের কর্মব্যস্ততা থেকে নিজেকে মুক্তি দিতে ঘুরে দেখতে পারেন ইতিহাসের অন্যতম এই নিদর্শন।ইতিহাসের পাতা ঘাটলে দেখা যায়, মনোহরপুর রাজবাড়ির ইতিহাসজুড়ে আছে অগাধ কিংবদন্তি। ১৫৭৫ সালে মোগল-পাঠানের যুদ্ধের সময় আকবরের সেনাপতি টোডরমল পরিচালিত সেনাবাহিনীর অন্যতম সেনা ছিলেন লছমিকান্ত উত্তররাও। যুদ্ধ শেষ হয়ে গেলেও রাজস্থান নিবাসী লছমিকান্ত আর স্বদেশে ফেরেননি। পরবর্তীতে দাঁতনে জমিদারির প্রতিষ্ঠা করেন। মনোহরপুরে গড়ে ওঠে তাদের বসত ভিটে এই রাজবাড়ি। স্বাভাবিকভাবে সপ্তাহান্তে কোথাও থেকে ঘুরে আসার প্ল্যান করলে আপনার ডেস্টিনেশন হোক এই মনোহরপুর রাজবাড়ি।
আরও পড়ুন : সূর্য-বুধের বাম্পার চালে এক লাফে পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধি! ভাঙা প্রেম জোড়া! চলতি মাসেই ফিরছে ৩ রাশির কপাল
ইতিহাসের সঙ্গে কাটান একটা দিন।মন ভাল হয়ে যাবে আপনার।ট্রেন কিংবা বাস বা অন্যান্য গাড়ির যাত্রাপথ অত্যন্ত সুলভ। ট্রেনে এলেই আপনি নামতে পারেন বেলদা কিংবা দাঁতন স্টেশনে। সেখান থেকে বাসে চেপে আপনি পৌঁছে যেতে পারবেন মোগলমারি। অথবা খড়গপুর থেকে জাতীয় সড়ক ধরে ওড়িশার দিকে যাওয়ার সময় মনোহরপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে সামান্য কিছুটা দূরে রয়েছে এই ইতিহাসক্ষেত্র।