এথিক্স কমিটির ‘অনাস্থা’ সত্ত্বেও মহুয়া মৈত্রর উপরই ভরসা রাখল তৃণমূল । নদিয়ার কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে রাখা হয়েছে সেই মহুয়া মৈত্রকেই। ক্যাশ ফর কোয়েশ্চন থেকে সাংসদ ওয়েবসাইটের লগ ইন আইডি ব্যবসায়ীকে দিয়ে রাখার মতো একাধিক অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। বিজেপির তরফে সাংসদকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যাও দেওয়া হয়েছে। প্রাথমিকভাবে রাজনৈতিক মহল মনে করেছিল, সাংসদের পাশে নেই দল। নিজের লড়াই একাই লড়তে হবে মহুয়াকে। যদিও এধরনের অভিযোগে কান দিতে রাজি ছিলেন না সাংসদ। দেখা গেল, মহুয়ার পাশে দাঁড়াল দল। তাঁকেই সাংগঠনিক জেলা সভাপতি পদে আনা হল। এছাড়া মহুয়াই যে প্রার্থী পাচ্ছেন তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব তরফ থেকে।
advertisement
মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে যে অর্থের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ তোলা হয়েছিল তা এখনও প্রমাণ হয়নি। সেখানে এমন একজন দুঁদে সাংসদকে সংসদ থেকে সরিয়ে দেওয়া কিছুতেই মেনে নিতে পারেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মহুয়াকে ওরা তাড়িয়েছে! কেন? কারণ, মহুয়া মানুষের কথা বলেছিল। তোমরা জোর করে তাড়িয়ে দিতে পারো, কিন্তু মানুষের ভোটে মহুয়া জিতবেই। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ আবার ওঁকে ভোট দিয়ে জিতিয়ে আনবে।’ লোকসভায় ঘুষের বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগ তুলে মহুয়া মৈত্রকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেয় এথিক্স কমিটি। গত ডিসেম্বর মাসে তাঁকে লোকসভা থেকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। যদিও, তাঁর বহিষ্কারের পরেও দল যে তাঁর পাশে আছে।