আহত গৃহবধুর দাদা সুব্রত শীলের অভিযোগ, কলকাতায় উপস্থিত হতেই জানতে পারেন তাঁর বোনকে শাবল দিয়ে মাথা সহ শরীরের একাধিক জায়গায় আঘাত করা হয়েছে। তার ঘাড় ও ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বোনের নিঃশ্বাসটুকু পড়লেও তার জ্ঞান বলে কিছুই নেই। বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গেই ২৬ তারিখ ফারাক্কা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ ও দায়ের করা হয়। তারপরই কলকাতা থেকে পালিয়ে যায় স্বামী হ্যামলেট সরকার। গৃহবধূকে একটি বেসরকারি নার্সিংহোমেও চিকিৎসা করানোর উদ্দেশ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেও চিকিৎসকেরা একরকম বাঁচার আশা নেই বলেই জবাব দেন।
advertisement
ভাইয়ের অভিযোগ, ‘প্রতি মুহূর্ত বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া হত। প্রত্যেকবার কিছু অর্থ বাবা জোগান দিতে পারলেও, শেষবার বাবা টাকা দিতে পারেননি। সেই কারণেই এই নির্মম অত্যাচার। ফারাক্কা থানার পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তাদের নজরে আছে। অভিযুক্ত গা ঢাকা দিয়েছে। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। খুব তাড়াতাড়ি তাকে গ্রেফতার করা হবে।’