চুঁচুড়া শ্রমজীবী স্বাস্থ্য প্রকল্পের দ্বিতীয় ইউনিট চালু হল শুঁড়িপাড়ায়। মানব দরদী চিকিৎসক ছিলেন গৌরী সুর, তার স্ত্রী শ্যামলী সুর বিভিন্ন সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত। শুঁড়িপাড়ার বাড়ির একতলায় বসে চিকিৎসা করতেন ডাঃ সুর। সেই বাড়িতেই বহিঃবিভাগ চালু হল শ্রমজীবী স্বাস্থ্য কেন্দ্রের। যেখানে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক যেমন দেখবেন তেমনি ইসিজি ফিজিও থেরাপি হবে। আগামী দিনে আল্ট্রাসোনোগ্রাফি এক্সরে পরিষেবা মিলবে।
advertisement
আরও পড়ুন: গাছেই ঝুলছিল কিউআর কোড… দেখে স্ক্যান করতেই যা বেরিয়ে এল… দেখে চক্ষু চড়কগাছ
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চুঁচুড়া শ্রমজীবীর সহ-সভাপতি অমল রায় বলেন, “বৃহত্তর শ্রমজীবী পরিবারের সদস্য আমরা। চুঁচুড়া শ্রমজীবী সেবা প্রকল্পের প্রথম ইউনিটটি পাঁচ বছর আগে চালু হয়েছিল রাম মন্দির এলাকায়। সেখানে মাসে প্রায় ১০০ টি চেম্বার হয়। বহু মানুষ উপকৃত হন। আমাদের দ্বিতীয় ইউনিটটি চিকিৎসক গৌরীশংকর সুরের বাড়িতে চালু হল। এখানেও সব রকম রোগের চিকিৎসা করবেন ডাক্তাররা। টাকা মিলবে পরিষেবা। চুঁচুড়া শহরবাসীর সাহায্য অনুদান এবং সহযোগিতায় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র আগামী দিনে আরও উন্নতি করবে।”
গৌরীশংকর সুরের আত্মীয় স্মিতধী গাঙ্গুলী বলেন, “সেই সময় চুঁচুড়া শহরের অত্যন্ত নামি শিশু চিকিৎসক ছিলেন ডাঃ সুর। কিন্তু তিনি মানুষের সেবা করে গেছেন। আমাকেও ছোটবেলায় দুবার প্রাণে বাঁচিয়েছিলেন। তার স্মৃতিতে আমার মাসি এই বাড়ি দিয়েছেন। যেখানে মানুষের উপকার হবে।” শ্যামলী সুর বলেন, ‘মানুষ হিসাবে মানুষের জন্য কাজ করেছি। মানুষ আরও মানবিক হোক। ভাল কাজে এগিয়ে আসুক এটাই চাই।’
রাহী হালদার





