গত ২২ জুলাই মৃত্যু হয় হাবরার বিদ্যাসাগর পল্লির বাসিন্দা দীপঙ্কর মণ্ডল (৪৫) নামে ওই ব্যক্তির৷ ঘটনার দিন পেশায় ইলেক্ট্রিক মিস্ত্রি দীপঙ্কর বাবুর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী শম্পা মণ্ডলের বাড়িতেই বচসা শুরু হয়৷ শম্পাদেবীর দাবি অনুযায়ী, বচসা থেকেই দু জনে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন৷ তখনই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন দীপঙ্কর মণ্ডল৷ দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷
advertisement
সেই সময় মৃত দীপঙ্করবাবুর দাদা শম্পাদেবীর বিরুদ্ধেই ভাইকে খুনের অভিযোগ করেন৷ যদিও সেই সময় থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের হয়নি৷ তবে স্বামীকে খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন শম্পাদেবী৷
যদিও অস্বাভাবিক মৃত্যু হওয়ায় দীপঙ্করবাবুর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ৷ গতকালই সেই ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত রিপোর্ট আসে৷ সেই রিপোর্টেই জানা যায়, শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে দীপঙ্কর মণ্ডলকে৷ ময়নাতদন্ত রিপোর্টে এই তথ্য উঠে আসতেই দীপঙ্করবাবুর পরিবারের পক্ষ থেকে শম্পাদেবীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়৷ এর পরই তাঁকে গ্রেফতার করে হাবরা থানার পুলিশ৷ এ দিন শম্পাদেবীকে বারাসত আদালতে পেশ করে পুলিশ৷
যদিও আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথেও খুনের কথা অস্বীকার করেন শম্পাদেবী৷ তাঁর দাবি, ঘটনার দিন আমার স্বামীই প্রথমে আমাকে মেরেছিল৷ চড় মেরে সেদিনই আমার কানের পর্দাও ফাটিয়ে দেয় আমার স্বামী৷ আমার গলাও টিপে ধরে৷ তখন আমিও প্রাণ বাঁচাতে পাল্টা ওকে আটকানোর চেষ্টা করি৷ হাতে চুড়ি থাকায় ওর হাত, পেট সহ কয়েক জায়গায় কেটে গিয়েছিল৷ আচমকাই আমার স্বামী দরজার কাছে বসে পড়ে সংজ্ঞাহীন হয়ে যায়৷
শম্পাদেবীর দাবি, তাঁর স্বামী আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন৷ তাই হাতাহাতির সময় সামান্য আঘাতেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে৷