জানা গিয়েছে, মৃত ওই যুবকের নাম গৌতম সিং সর্দার (৩৫)৷ মানবাজারের ঘাসতেড়িয়া গ্রামের একটি পুকুর থেকে গতকাল তাঁর দেহ উদ্ধার হয়৷ এই ঘটনায় মৃতের স্ত্রী জ্যোৎস্না সিং সর্দার (২৪) এবং উত্তমের ছোট ভাই গৌতমকে (২৩) গ্রেফতার করেছে মানবাজার থানার পুলিশ৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গতকাল পুকুর থেকে উত্তমের দেহ উদ্ধারের পরই দেহটি দেখে সন্দেহ হয় পুলিশের৷ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে তদন্ত শুরু করেন মানবাজার থানার আধিকারিকরা৷ উত্তমের স্ত্রী সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়৷ সেই জিজ্ঞাসাবাদেই জ্যোৎস্না এবং উত্তমের বয়ানে অসঙ্গতি ধরা পড়ে৷ এর পর পুলিশ চেপে ধরতেই ভেঙে পড়ে বৌদি এবং দেওর৷ নিজেদের অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় তারা৷ জ্যোৎস্ন এবং উত্তম জানায়, রবিবার দুপুরে দু জন মিলে গৌতমকে খুন করে৷ রাতে দেহটি বাড়ির কাছে পুকুরে ফেলে দেয় তারা৷
advertisement
গৌতমের স্ত্রী জ্যোৎস্না এবং ছোট ভাই উত্তমকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ জানা গিয়েছে, একই গ্রামে বাড়ি হওয়ার কারণেই উত্তম এবং জ্যোৎস্নার ঘনিষ্ঠতা ছিল৷ কিন্তু জ্যোৎস্নার বিয়ে হয়ে যায় উত্তমের দাদা গৌতমের সঙ্গে৷ গৌতমের সঙ্গে বিয়ে হলেও তাঁর ভাই উত্তমের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা বাড়তে থাকে জ্যোৎস্নার৷
পুলিশ সূত্রে খবর, গৌতমের সঙ্গে বিয়ের আগে থেকেই তাঁর ভাই উত্তমের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল জ্যোৎস্নার৷ বিয়ের পরেও সেই সম্পর্ক চলতে থাকে৷ নিজেদের পথের কাঁটা সরিয়ে দিতেই গৌতমকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় উত্তম ও জ্যোৎস্না৷ সেই মতো গলা ফাঁস লাগিয়ে প্রথমে দেওর এবং বৌদি মিলে গৌতমকে খুন করে৷ এর পর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহটি বাড়ির কাছে পুকুরে ফেলে দেয় তারা৷