সেই ফুলের শোভা উপভোগ করতে জেলার পাশাপাশি রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের পর্যটকেরা ছুটে আসেন পাঁশকুড়ায়। পাঁশকুড়ার নানা প্রান্তে শীতকালে চন্দ্রমল্লিকা, গাঁদা, গ্যাডিওলাস, গোলাপ সহ বিভিন্ন ধরনের ফুলের চাষ হয়। পাঁশকুড়ার কংসাবতী নদীর তীরবর্তী ক্ষীরাই বর্তমানে ফুলের উপত্যকা নামে পরিচিত।
advertisement
প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসের শুরু থেকে ফুলের উপত্যকায় ফুলের অপরূপ শোভা উপভোগ করতে ফুল প্রেমী পর্যটকেরা ছুটে আসেন। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি টানা তিন মাস পর্যটকের ভিড়ে উপচে পড়ে পাঁশকুড়ার এই ফুলের উপত্যকা। কিন্তু এবার ডিসেম্বরে ভিন্ন চিত্র। ফুলপ্রেমী পর্যটক এলেও গাছে ফুল নেই। হতাশ হয়ে ফিরতে হচ্ছে পর্যটকদের। এরকমই এক পর্যটক জানান, ‘প্রতিবছর ডিসেম্বর মাসে এসে দেখি মাঠের পর মাঠ ফুলে ভরে যায়। কিন্তু এবছর ফুল নেই। কিছুটা খারাপ লাগা নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।’
এরই মধ্যে পাখনা মেলে প্রজাপতিরা আনাগোনা শুরু করেছে। মধু আহরণে মৌমাছিরাও ভিড়করছে। শীতের পরশ লাগতেই যেন এভাবেই ছন্দে ফিরে ফুলের উপত্যকা পাঁশকুড়ার ক্ষীরাই। তবে এবার বর্ষায় বন্যা যে ভয়াল রূপ নিয়েছিল সেই বিপর্যয় মোকাবিলা করে যে ক্ষীরাই ফের নিজ ছন্দে ফিরতে পারবে তা চিন্তার অতীত ছিল চাষিদের কাছে। আর বন্যার কারণেই এবার ডিসেম্বর মাসে ফুলের উপত্যকা ফুলে ভরে ওঠেনি। তবে চাষিদের আশা জানুয়ারি মাসের প্রথম থেকেই ফুলের উপত্যকা ফুলে ভরে উঠবে। সেই জায়গায় বাহারি ফুলের দেখা মিলতে শুরু করায় ফের দৃষ্টিনন্দন দৃশ্য দেখতে ভিড়করতে শুরু করবে পর্যটকেরা।
সময়েফুল চাষ না হওয়ায় ফুল ফোটেনি, আর তাতে অনেকটাই হতাশ পর্যটকেরা। যদিও নতুন বর্ষ বরণের পরেই এই ফুলের উপত্যকা পুনরায় চেনা ছন্দে সেজে উঠবে বলে দাবি করেছেন এলাকার ফুল চাষিরা।ঘোষপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম করলা, পার্শ্ববর্তী পাঁশকুড়া ১ গ্রাম পঞ্চায়েতের জানাবাড়, মহৎপুর, নস্করদিঘি-সহ পাঁশকুড়া পুরসভার কাঁসাই তীরবর্তী জন্দড়া, ভবানীপুর, চাপাডালি ও পশ্চিম কোল্লা এলাকার ফুলের বাগান গুলিও শীতের পরশে নতুন করে সেজে উঠতে শুরু করেছে।
সৈকত শী