ধন সম্পদের দেবী হিসাবে পরিচিত মা লক্ষী। বাড়িতে লক্ষ্মীর আগমন যাতে সব সময় বজায় থাকে তার কারণেই দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করে থাকেন বাংলার প্রায় প্রত্যেকটা বাড়ি। তবে পশ্চিম বর্ধমানের আসানসোল শহরের ‘এই’ বাড়িতে পুজো কোন প্রতিমায় হয় না। মাটির সরার মধ্যে প্রতিমা অঙ্কন করেই প্রাচীন রীতিনীতি মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে লক্ষ্মীপুজো হয়ে আসছে প্রায় ১০০ বছর ধরে।
advertisement
আসানসোল সাহাবাড়ির সদস্যা মুকুল রাণী সাহা জানান, ‘আমাদের বাড়ির এই পুজোটা ১০০ বছরের প্রাচীন। আমি প্রায় ৪৫ বছর থেকে এই বাড়ির পুজোটা দেখে আসছি। তার আগে পূর্বপুরুষেরা পুজো করে গিয়েছেন। সেই রীতি মেনে নিষ্ঠা ও উপাচারের সঙ্গে এই পুজো আমরা করে থাকি’।
আরও পড়ুনঃ মুর্শিদাবাদের ‘এই’ গ্রামে হয় না দুর্গাপুজো! উৎসবের রঙ লাগে লক্ষ্মীপুজোয়! মেলা, যাত্রা… আরও কত কী
আসানসোল মহিশীলা কলোনির সাহা বাড়িতে প্রায় ১০০ বছর ধরে হয়ে আসছে কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। সব জায়গায় প্রতিমা দিয়ে পুজো হলেও সাহা বাড়িতে মাটির সরার উপরে প্রতিমা অঙ্কন করে পূজিত হন কোজাগরী লক্ষ্মী। বংশ পারাম্পারা ধরে হয়ে আসছে এই পুজো। সরার উপরে রং তুলি দিয়ে অঙ্কন করা হয় প্রতিমা। এরপরে এই সরাটি পুজোর জন্য নিয়ে আসা হয় বাড়িতে। সেখানে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজোর আয়োজন করা হয়। আগে এই পরিবারে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর দিনে ইলিশ মাছের পুজো করতেন তারা। এখন ইলিশের দাম বাড়ায় ইলিশের পুজো করা হয়ে ওঠে না।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে এই কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোয় বিশেষ ভোগের আয়োজন করা হয়। বাড়িতে তৈরি মোয়া, নারকেল নাড়ু, খই, সুজি, লুচি দিয়ে ভোগ নিবেদন করা হয়। পরিবারের সকলেই আনন্দের সঙ্গে দিনটি পালন করেন। স্বাভাবিক ভাবেই আশেপাশের লোকজন এই পুজো দেখতে আসেন।