প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গ্রামীণ এলাকাগুলিতে জল রিচার্জের সুযোগ রয়েছে। কিন্তু শহরে সেই সুযোগ নেই। ফলে শহরের বাইরের চারপাশের এলাকাগুলিতে জল রিচার্জের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ইসরোর বিজ্ঞানীরা বেশকিছু টাস্ক দিয়ে গিয়েছেন। শহরের জলস্তর নামছে কেন সেটা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। শহরে অবৈধ জলের কারখানা কত রয়েছে বা সাবমার্সিবলের সংখ্যা কত, সেই তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে। শহরের বাইরে চাষের জন্য ভূগর্ভস্থ জল কতটা তোলা হয় সেই তথ্যও নেওয়া হবে। সেই সবকিছু নির্দিষ্ট একটি অ্যাপে ডাউনলোড করতে হবে। যাবতীয় তথ্য যাচাই করে বিজ্ঞানীরা প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেবেন।
advertisement
বর্ধমান ছোট শহর। কিন্তু এই শহরে অন্তত কুড়ি হাজার সাবমার্সিবল পাম্প রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রতিদিন ব্যক্তিগত উদ্যোগে সেইসব পাম্প দিয়ে জল তুলে নেওয়া হচ্ছে। পুরসভাও এলাকায় এলাকায় সাবমার্সিবল পাম্পে জল তুলে সরবরাহ করছে। ফলে হু হু করে কমছে মাটির তলার জলস্তর।
বর্ধমান পুরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার বলেন, ইসরোর বিজ্ঞানীরা বৈঠক করে গিয়েছেন। আমরা দু'মাসের মধ্যেই সমীক্ষার কাজ শেষ করব। আগামী দিনে আমরা দামোদর থেকে জল তুলব। পাইপ লাইনের মাধ্যমে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে যাবে। তখন সাবমার্সিবলের সংখ্যা কমে যাবে। তবে শুধু সাবমার্সিবল নাকি অন্য কোনও কারণে জলস্তর নামছে তা সমীক্ষার রিপোর্ট পর্যলোচনা করার পরেই বোঝা যাবে।