বিধানসভায় দাঁড়িয়ে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কটাক্ষ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বিধানসভার একটি আসন বাদে বাকি সব আসনেই লোকসভায় তৃণমূল কংগ্রেস পিছিয়ে রয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দুই লোকসভা হাতছাড়া হবার পরেই বিজেপি এই জেলা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ার কৌশল নেয়।
আরও পড়ুন: গজলক্ষ্মী রাজযোগে সোনায় মুড়বে ৬ রাশির কপাল, বৃহস্পতি-শুক্রের মিলনে টাকার বৃষ্টি
advertisement
এই অবস্থায় কাঁথি সমবার ব্যাঙ্কের ভোটে বিজেপি শিবির পরাস্ত হওয়ায় অধিকারী গড়ে ফের বিধানসভার আগে অক্সিজেন পেল তৃণমূল কংগ্রেস। পূর্ব ভারতের অন্যতম বড় সমবায় ব্যাঙ্ক হল কাঁথি। এই ব্যাঙ্কের পরিচালন কমিটি হাতে রাখা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। মাঝে তিনবছর নির্বাচন হয়নি। কৌশল করেও ওই সমবায় সমিতি দখলে রাখতে পারল বা বিজেপি।
শুভেন্দুর গড়ে রীতিমতো সবুজ ঝড়। রাজনৈতিক কারণে এই সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ উপভোক্তাদের মধ্যে বিভিন্ন অর্থনৈতিক শ্রেণীর মানুষ আছেন। অবিভক্ত মেদিনীপুরের একটা বড় অংশ জুড়ে তাই এই সমবায় ব্যাঙ্কের ভোট ঘরে ঘরে গুরুত্বপূর্ণ। শাসক দল মনে করছে, এই জেলায় জয়ের অন্যতম কারণ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কৌশল।
সব বিধায়কদের দায়িত্ব দিয়ে নিজের নিজের এলাকায় প্রচারে জোর। বিধানসভা ভোটের আগে জনপ্রতিনিধিদের এলাকায় কতটা প্রভাব রয়েছে, তা বুঝে নেওয়ার পরীক্ষা। পাশাপাশি সংগঠনে দূরত্ব না রেখে কাজ করা। এর মিশেলেই কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের ভোটে জয় ছিনিয়ে আনতে পারল তৃণমূল কংগ্রেস। সবাই এক হয়ে লড়তে হবে।
আরও পড়ুন: টাকা, সাফল্য হাতের মুঠোয়! এই তারিখগুলিতে জন্ম নিলেই কোটিপতি হওয়া কেউ আটকাতে পারবে না
যদি শুভেন্দুর গড়ে না জিততে পারো, তাহলে আগামীদিনে তাদের বিধানসভা বা অন্য ভোটে টিকিট পাওয়া হবে কিনা তা নিয়েও কার্যত হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। লোকসভার ফল দেখে একাধিক জায়গায় এমন ব্যাক্তি চিহ্ণিত করা হয়েছিল যারা সকালে এক দল, বিকেলে এক দল। এদের কার্যত এই দায়িত্ব থেকে দূরে রাখা হয়। তার ফলেই এই রেজাল্ট বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।