জানা গিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর শিল্পী রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছে যান। ৯ ডিসেম্বর দেশের সেরা শিল্পীদের সঙ্গে তিনিও রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কার পান। স্বাভাবিকভাবেই পিংলা, মেদিনীপুর সহ গোটা রাজ্যে এখন আনন্দের ঢেউ। রাষ্ট্রীয় এই অনুষ্ঠানে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের নির্বাচিত শিল্পীদের সঙ্গে পটশিল্পী স্বর্ণ চিত্রকরও তাঁর শিল্পকর্ম প্রদর্শন করেন। এবার বাংলা থেকে নির্বাচিত একমাত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত শিল্পী তিনিই। বহু শিল্পীর স্বপ্ন যেখানে পৌঁছাতে পারে না, সেখানে নিজের প্রতিভা আর সৃজনশীলতার জোরে পৌঁছে গেলেন স্বর্ণ চিত্রকর।
advertisement
শিল্পী বলেন, “২০২৪ সালে আমাকে শিল্প প্রদর্শনের জন্য মনোনীত করা হয়েছিল। তারপর ২০২৫ সালে রাষ্ট্রপতি ভবনে অন্যদের সঙ্গে আমার কাজ প্রদর্শনের সুযোগ পাই। তারপর আমার হাতে যে জাতীয় পুরস্কার উঠবে, তা ভাবিনি। এটা আমার জীবনের সর্বাধিক আবেগঘন মুহূর্ত।”
বাংলা পটশিল্পের ইতিহাসে এটি এক মূল্যবান সংযোজন। এর আগে এই মাটিরই শিল্পীরা, গুরুপদ চিত্রকর (২০০১), আনোয়ার চিত্রকর (২০০৭) জাতীয় পুরস্কার পেয়েছিলেন। এখন সেই তালিকায় যুক্ত হল স্বর্ণ চিত্রকরের নাম।
উল্লেখ্য, পিংলার নয়া গ্রাম এখন আন্তর্জাতিকভাবে ‘পটচিত্র গ্রাম’ হিসেবে পরিচিত। এখানকার শিল্পীরা রং-তুলির টানে শুধু ছবি আঁকেন না, তাঁরা গেয়ে শোনান গল্প, ইতিহাস, সংস্কৃতি। দেশ-বিদেশে প্রদর্শনী থেকে প্রশিক্ষণ, সব জায়গায় স্বীকৃতি পেয়েছে এই শিল্পকলা। স্বর্ণ চিত্রকরের সাফল্য সেই ঐতিহ্যকেই আরও উজ্জ্বল করে তুলল। গ্রামের মানুষ, সহশিল্পী, শিক্ষক- সবাই আজ উৎসবের আবহে। কারণ একটাই, নয়া গ্রামের আঙিনা থেকে আবারও রাষ্ট্রপতি ভবন পর্যন্ত পৌঁছে গেল বাংলার গর্বের পটশিল্প।
