মাত্র ৪৯ বছর বয়সে ইহলোক ছেড়ে পরলোকে গমন করা মেদিনীপুরের এই প্রশাসকের সমাধি-স্মৃতিসৌধও রয়েছে মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠে। শুধু তাই নয়, তাঁর এই স্মৃতিসৌধটি আকার, আয়তনের দিক থেকেও বেশ অন্যরকম। প্রায় দুশো বছরেরও বেশি সময় আগের ইতিহাস বহন করে চলেছে ঐতিহাসিক মেদিনীপুর শহর। কংসাবতী নদীর পাড়ে গড়ে ওঠে মেদিনীপুর শহর। অবিভক্ত মেদিনীপুর জেলা হিসেবে স্বীকৃতি পায় ১৭৭৪ খ্রিস্টাব্দে। এরপর ১৭৭৭ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর জেলার জেলা কালেক্টর হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেন জন পিয়ার্স। পাশাপাশি ১৭৮৩ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুর শহরের আত্মপ্রকাশ ঘটে। স্বাভাবিকভাবে বলা যেতেই পারে জন পিয়ার্সের শাসনকালে মেদিনীপুর শহরের আত্মপ্রকাশ ঘটে।
advertisement
আরও পড়ুন : ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেশারের খেলা শেষ! অনাদরে ফুটে থাকা নয়নতারার পাপড়িই মুশকিল আসান! জটিল রোগের মহৌষধ
ইতিহাস গবেষকদের দাবি, দেওয়ানি লাভের পর মেদিনীপুরের প্রথম রেসিডেন্ট হিসেবে আসেন জন পিয়ার্স। তবে ১৭৮৮ সালে মাত্র ৪৯ বছরে তাঁর মৃত্যুতে শহরের সেকপুরা এলাকায় কামারপাড়াতে গড়ে তোলা হয় স্মৃতিসৌধ।ইতিহাস গবেষক সন্তু জানার দাবি, “প্রায় দুশো বছরের বেশি সময়ের ইতিহাস যে বহন করছে তা শুধু নয়, এই স্মৃতিসৌধ ভাস্কর্যের দিক থেকে অত্যন্ত মূল্যবান। উচ্চতায় বেশ অনেকটা, শুধু তাই নয় চূড়ার আকৃতি পিরামিডের মত। নীচে চারিদিকে গোল থাম দেওয়া চতুর্ভুজ ক্ষেত্র রয়েছে।” ইতিহাসবিদদের কাছে অত্যন্ত প্রামাণ্য ও গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন জন পিয়ার্সের সমাধিসৌধ।
বর্তমানে আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া এই ক্ষেত্রে সংরক্ষণ করেছে। এই স্মৃতিসৌধের গায়ে একটি ফলক ছিল তা বর্তমানে অপসারিত। এলাকাবাসীরা এই বিশেষ ইতিহাস ক্ষেত্র সংরক্ষিত করে রেখেছেন। মেদিনীপুরের ইতিহাসে এক অন্যতম ক্ষেত্র জন পিয়ার্সের সমাধি।