প্রসঙ্গত, প্রতিবছর বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের বিস্তীর্ণ এলাকা। শিলাবতী, ঝুমি ও কংসাবতী নদীর জল বাড়লে ঘাটাল মহকুমার বিস্তীর্ণ এলাকা জলমগ্ন হয়ে থাকে। রূপনারায়ণ দিয়ে সেই জল বেরিয়ে গেলে সমস্যা কাটে। কিন্তু, তা না হওয়ায় এলাকাবাসী দুর্ভোগের মধ্যে পড়েন। জলের তলায় চলে যায় রাস্তাঘাট। যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। ত্রাণ শিবির, প্রতিবেশীর পাকা বাড়ির ছাদে আশ্রয় নেন মানুষ। নৌকায় করে চলে যাতায়াত। তবে সকলের দাবি ছিল ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান। বাম সরকারের সময় সেই মাস্টার প্ল্যান রূপায়িত হয় কিন্তু এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
advertisement
জানা গিয়েছে, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান মূলত ঘাটালকে ঘিরে থাকা মূল নদী এবং শাখা নদীগুলির নিয়মিত ড্রেজিং করা। যাতে সেগুলির জলধারণ ক্ষমতা বাড়ে এবং বন্যার হাত থেকে ঘাটাল রক্ষা পায়। বিভিন্ন জায়গায় পাম্প হাউস তৈরি, নদীপথ সংস্কার করা, স্থানীয় খালগুলিতে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, খাল সংস্কার।
সেই সঙ্গে ঘাটালের নদী ও খাল গুলিতে লক গেট বাসানো এই প্রকল্পের লক্ষ্য। এ বিষয় নিয়ে সোমবার সংশ্লিষ্ট দফতরের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন দেব। আগামী সপ্তাহ থেকে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়িত করার কাজ শুরু হবে। তবে দ্রুত সেই কাজ করে ঘাটালবাসীকে বন্যার হাত থেকে মুক্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন সকলে।
রঞ্জন চন্দ