পশ্চিম মেদিনীপুরের বাংলা-ওড়িশা সীমানার এক প্রাচীন জনপদ দাঁতন। দাঁতনের শরশঙ্কা এলাকায় রয়েছে এই বৃহত্তম পুষ্করিণী। যা শুধু জেলার মান, সুখ্যাতি বাড়িয়েছে তা নয় সারা বাংলার এক অন্যতম প্রসিদ্ধ স্থান। এ পুষ্করিণীর অবস্থান এবং ইতিহাস নিয়ে নানান মত থাকলেও এত বিশাল দিঘি বা পুকুর আগে হয়ত আপনি কোথাও দেখেননি। এক প্রান্তে দাঁড়ালে অপর প্রান্তে চোখ যাওয়া মুশকিল। শুধু তাই নয় এই পুষ্করিণীর চারিদিকে রয়েছে ছোট বড় একাধিক পুকুর।
advertisement
ইতিহাস গবেষকদের থেকে নানান মত পাওয়া গেলেও জানা যায়, পশ্চিমবঙ্গের অন্যতম বৃহত্তম এই দিঘি বা পুষ্করিণী। বেশ কিছু ইতিহাস গবেষক মনে করেন, গৌড়রাজ শশাঙ্কের সময়ে খনন হয়েছিল এই পুষ্করিণী। কেউ কেউ আবার ওড়িশার এক রাজার সঙ্গে সম্পর্ক খুঁজেছেন। তবে আয়তাকার এই সুবিশাল দিঘির খোঁজ হয়তো অন্য কোথাও পাওয়া যাবে না। বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে ছড়িয়ে আছে এই বিশাল দিঘি। জানা যায়, এই পুষ্করিণীর চারপাশে রয়েছে একাধিক ছোট-বড় পুকুর।
আরও পড়ুন : ব্লাড সুগারে কি বেল খাওয়া যায়? বেলের পানা বা মোরব্বা খেলে কি চড়চড়িয়ে বাড়ে ডায়াবেটিস? জানুন
প্রকৃতির সৃষ্টি নয়, বেশ কয়েক দশক আগে, এই সুবিশাল জলাশয় খোঁড়া হয়েছিল বলে অনেকের মত।শরশঙ্কা দিঘিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠবে পর্যটনকেন্দ্র। ইতিমধ্যেই দাঁতনের বিধায়ক বিক্রমচন্দ্র প্রধানের তত্ত্বাবধানে অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। স্বাভাবিকভাবে একদিকে যেমন ইতিহাস, অন্যদিকে পর্যটনের মেলবন্ধন এই সুবিশাল জলাশয়কে কেন্দ্র করে। স্বাভাবিকভাবে পর্যটন শিল্পে অন্যতম মাইলস্টোন সম্পূর্ণ মানুষের তৈরি এই জলাশয়।