কৃষিকাজের শেষে লক্ষ্মীকে আনতে হবে বাড়িতে। সেই লক্ষ্মী সোনালী ফসল। বেশ কয়েক মাসের চেষ্টায় ফলিয়েছেন কৃষকরা। যন্ত্রের মাধ্যমে কৃষিকাজ হলেও ধান ওঠার পর দেবী লক্ষ্মীরূপে ধান গাছকে পুজো করে বাড়িতে লক্ষ্মী আনেন কৃষকেরা। এখনও সেই প্রথা বহমান। পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় ধান চাষ হয়। বছরের তিন বার ধান চাষ হয় বিভিন্ন জায়গায়। গ্রামের মানুষের বিশ্বাস সোনালী ফসলই নাকি তাদের ঘরের লক্ষ্মী। তাই চাষের শুরুতে এবং সবশেষে মা লক্ষ্মীকেই ঘরে আনেন তারা।
advertisement
আরও পড়ুন: ডাক্তারের অভাব, সপ্তাহে চিকিৎসা মেলে মাত্র পাঁচদিন! পরিষেবা ভেঙে পড়ছে সুন্দরবনের হাসপাতালে
ফসল রোপনের আগে মা লক্ষ্মীর নামে পুজো করেন মাঠেই। এরপর বিভিন্ন উপায়ে চাষাবাদ করলেও সোনালী ফসল তোলার আগেই একইভাবে পুজো করে খড় সহ ধান বা ধানের বিড়া বাড়িতে আনেন তারা। ধান কাটা হলেও, মাঠে বেশ কয়েকটি গাছ রাখা হয়। প্রথমে মাঠে গিয়ে সেই গাছকেই পুজো করেন চাষিরা। এরপর সেটিকে কেটে একগুচ্ছ ধানের সঙ্গে বেঁধে মাথায় করে বাড়িতে আনেন তারা। এরপর তাকে রাখা হয় ঘরের চালে। সময় বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে সভ্যতা।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তবে মানুষের প্রচলিত বিশ্বাসে বদল নেই। মনে করা হয়, এতেই নাকি দেবী লক্ষ্মী তুষ্ট হন। কৃষিজীবী মানুষদের ভরসা এর ফলে বাড়ে মাঠের ফসল। তাই শুরুতে এবং শেষে দেবী লক্ষ্মীকেই আরাধনা করেন তারা। প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও এই ধারণাকে বহমান রেখেছেন চাষিরা। সোনালী ফসল পাকার পর, ঝাড়াই বাছাইয়ের শেষে বিড়া বাড়ান ধান বাড়ান তারা। এতেই যেন চাষের পর মানসিক প্রশান্তি পান তারা।





