আরও পড়ুনঃ জেলায় জেলায় বইবে 'লু', কবে থেকে নামবে ঝড়বৃষ্টি? জানুন পূর্বাভাস
গত কয়েকদিনে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছুঁয়েছে জেলায়। মরুভূমির মত শুষ্ক দাবদাহে পুড়ছে জেলা। তাপপ্রবাহ বিপজ্জনক হয়ে পড়ায় স্বাস্থ্য দফতর থেকে লিফলেট বিলি করে জানানো হয়েছে কী করবেন ও কী করবেন না। তাপপ্রবাহ থেকে রক্ষা পেতে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আর্জি জানানো হয়েছে বিপর্যয় ব্যবস্থাপন এবং অসামরিক প্রতিরক্ষা দফতর থেকেও। আজ হুগলি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক রমা ভুঁইয়া জেলা হাসপাতাল, মহকুমা হাসপাতাল, ব্লক হাসপাতালের আধিকারিকদের নিয়ে অনলাইনে মিটিং করেন।
advertisement
চুঁচুড়ায় জেলা হাসপাতালে কর্মশালার আয়োজন করা হয় তাপপ্রবাহ নিয়ে।
মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, ‘এদিন নার্স, আশাকর্মী থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যকর্মীদের তাপপ্রবাহ নিয়ে কী কী সতর্কতা নিতে হবে তা জানানো হয়েছে। সাধারন মানুষকেও সচেতন করা হচ্ছে দফতর থেকে। সকাল এগারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত যখন রোদ খুব চড়া হয় তখন প্রয়োজন না হলে বাইরে বেরোনো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করা হয়েছে।’
যাদের বেরোতেই হয় তাঁদের জন্য যতটা সম্ভব শরীর ঢাকা পোশাক, মাথায় টুপি, চোখে রোদ চশমা পরে বেরোনোই শ্রেয়। পোশাক হবে ঢিলেঢালা সুতির। জল খেতে হবে পর্যাপ্ত পরিমাণে। চা কফি না খাওয়াই ভাল। কেউ অসুস্থ হলে উপসর্গ দেখে বুঝতে হবে হিটস্ট্রোক হয়েছে কিনা। হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালের জরুরি বিভাগকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে সবসময়। এই সময় জলের খুব বেশি করে প্রয়োজন হয়। তাই, স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে সব জায়গায় যাতে পানীয় জল পাওয়া যায় সেটা দেখতে বলা হয়েছে।