মন্ত্রীর লালবাতি লাগানো শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি ছিল না। দেহরক্ষীদেরও দেখা মেলেনি। বদলে ফতুয়া পরে মাটি কাটার কাজে ব্যস্ত থাকলেন প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। মুখে সবুজ রঙের কাপড়ের ফেস কভার। মাথায় লাল গামছা পাগড়ির মতো করে বাঁধা। একের পর এক ঝুড়ি ভর্তি মাটি আসছে তাঁর মাথায়। সেই ঝুড়ি ভর্তি মাটি তিনি আবার তুলে দিচ্ছেন অন্যের মাথায়। প্রানী সম্পদ বিকাশ দফতরই নয়, ক্ষুদ্র মাঝারি ও কুটির শিল্প দফতরেরও মন্ত্রী তিনি। তিনি আজ এই ভূমিকায় কেন?
advertisement
পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলী এক নম্বর ব্লকের শ্রীরামপুরের বড় কোবলা গ্রামের বাঁশদহ বিলে এভাবেই জলাভূমি দিবস পালন করলেন রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ। জলাভূমি বাঁচাতে প্রতিবছরই ১২ জুলাই জলাভূমি দিবস পালন করে থাকেন মন্ত্রী। এবছরও একইভাবে খাল বিলের নদীর মাছকে বাঁচাতে এই কর্মসূচি নেন তিনি। সঙ্গ দেন পশু ও প্রকৃতি প্রেমী সংস্থার সদস্যরাও। তবে বিশেষ দিন বলে নয়। এই ভূমিকায় এলাকায় হামেশাই দেখা যায় মন্ত্রীকে। তিনি পূর্বস্থলীর বাসিন্দা। জলাভূমি সংরক্ষণে দীর্ঘ দুই দশক ধরে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।
নিজের উদ্যোগে এলাকার বাঁশদহ বিল, চাঁদের বিল সাজিয়ে তুলেছেন। সেখানে মাছ ছাড়ার ব্যবস্থা করেছেন। চুনো পুঁটি মাছের সংখ্যা বাড়াতে তিনি উদ্যোগী বরাবর। জলাভূমি বাঁচাতে প্রতি বছর খাল বিল চুনো পুঁটি উৎসব করে থাকেন। ইদানিং প্রতি রবিবার জলাশয় রক্ষায় কাজ করছেন তিনি। গত সপ্তাহে জলাশয়ের ধার বরাবর সুপারি গাছ লাগানোর পাশাপাশি কোমর সমান জলে নেমে পানা পরিষ্কার করেছিলেন। এবার জলাশয়ের গভীরতা বাড়াতে মাটি বইলেন।
শরদিন্দু ঘোষ