দিন নেই, রাত নেই, হুট করে চলে যাচ্ছে কারেন্ট। কোথাও এক ঘণ্টা, কোথাও আবার সারা রাত কারেন্ট থাকছে না। এমনিতেই বর্ষার মরশুমে বেড়েছে ডেঙ্গি, ভাইরাল জ্বরের উৎপাত। তার মধ্যে লোডশেডিং-এর সমস্যা। নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর।
অনেকেই বুঝতে পারছেন না, কারণটা কী! বহু জায়গায় রাজ্য বিদ্যুৎ সরবরাহ সংস্থার পক্ষ থেকে আগেই গ্রাহকদের মেসেজ করে জানানো হচ্ছে, মেইনটেনেন্স-এর জন্যই নির্ধারিত সময় লাইন বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তবে বহু জায়গায় কারেন্ট যাচ্ছে কোনও আগাম নোটিস ছাড়াই।
advertisement
আরও পড়ুন- চার বছর পার, অবশেষে গৃহহীনদের বাড়ি তৈরির দিনক্ষণ জানাল কলকাতা মেট্রো রেল
এরই মধ্যে সোমবার থেকে বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার দফতরের সামনে ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। ‘‘রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটটির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট।’ এমনটাই দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, ‘‘তীব্র গরমের মধ্যে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিদ্যুৎ না থাকার কারণে হাঁসফাঁস অবস্থা রাজ্যবাসীর।’’ আর এই পরিস্থিতির জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন রাজ্য সরকারকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন শুভেন্দু।
রাজ্যজুড়ে আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতির দাবিও উঠছে। জানা যাচ্ছে, সেই ঘাটতি ধামাচাপা দিতে যআন্ত্রিক বিভ্রাটের দাবি করা হচ্ছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি! তাই জন্যই কি ঘন ঘন লোডশেডিং! প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে।
আরও পড়ুন- ‘রাজ্যে বিদ্যুৎ ঘাটটির পরিমাণ ১২০০ মেগাওয়াট’, ধর্নায় বসার হুঁশিয়ারি শুভেন্দুর
বাংলার বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলি থেকে রোজ ৪২৬৫ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যায়। তবে কোলাঘাট, সাগরদিঘি বক্রেশ্বর বিদ্যুৎ কেন্দ্রে রক্ষণাবেক্ষণের জন্য কয়েকটি ইউনিট বন্ধ। তাতে রোজ ৩৭৫৫ ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা। তবে গত শুক্রবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত বিদ্যুৎ উৎপাদনের পরিমাণ ছিল ২৪০৯ মেগাওয়াট।
শুক্রবার যা গরম ছিল তাতে গোটা রাজ্যে বিদ্যুতের দৈনন্দিন চাহিদা পৌঁছেছিল প্রায় ৫ হাজার মেগাওয়াটের কাছাকাছি। ফলে বুঝতেই পারছেন, প্রায় আড়াই হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি ছিল। উৎপাদন ও চাহিদায় বিরাচ ফারাক। তাই রাজ্যজুড়ে লোডশেডিং।
বিদ্যুৎ দফতর সূত্রে খবর, কয়লার জেগানে ঘাটতি আসল কারণ। বর্ষার এই সময় কয়লা ভিজে থাকে। ফলে এই সমস্যা বহু পুরনো। তবে এবার বিদ্যুৎ দফতরের এই সমস্যা মোকাবিলায় আগাম কোনও পরিকল্পনা ছিল না বলেই জানা যাচ্ছে।