ভোট পরবর্তী হিংসায় বীরভূমের সাহাপুরের যাত্রা গ্রামে আক্রমণ হয় এবং বেশ কিছু লুটপাট হয় বাড়ি থেকে। এক মহিলার শ্লীলতাহানি হয়, চেষ্টা হয় ধর্ষনের। এই বিষয় নিয়ে মামলা হয় এবং তা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হয় আর সেই তদন্তের ভিত্তিতে সিবিআই পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয় ।সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার হয় - শেখ জামির হোসেন, শেখ নুরাই, শেখ কারিবুল, শেখ আশরাফ ও জয়ন্ত ডোম। বিজেপি নেতা রামকৃষ্ণ রায় বলেন , "ভোট পরবর্তী হিংসায় বীরভূমের সাহাপুরের যাত্রা গ্রামেঘরে আক্রান্ত হন বিজেপি কর্মীরা, লুটপাট হয়। এছাড়াও মহিলাদের ওপর শ্লীলতাহানির অভিযোগ ওঠে ।
advertisement
তারপরই এই বিষয় নিয়ে মামলা হয় তারপরই তা হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই তদন্ত হয়। আর সেই তদন্তের ভিত্তিতে সিবিআই আজ পাঁচজনকে গ্রেফতার করেন এবং তাদের সিউড়ি আদালতে তোলা হয়। সিবিআইয়ের এই তদন্তে আমরা খুশি। আমরা চাই দোষীরা যাতে শাস্তি পাই এবং আগামিদিনে যেন কেউ এমন ঘটনা ঘটানো আগে দুবার ভাবে।" বীরভূম জেলা তৃণমূলের সহ সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন , "ভোট পরবর্তী হিংসার এই তদন্ত বেশ কয়েকদিন ধরেই চলছে । সেই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথমে আমাদের রাজ্য সরকারের পুলিশ তদন্ত করে তারপর সেটা সিবিআইয়ের হাতে যায়। তারপর গতকাল পাঁচ জনকে দুর্গাপুর সিবিআই ক্যাম্প অফিসে ডেকে পাঠান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য।
জিজ্ঞাসাবাদের পরই গতকাল সন্ধ্যায় ওই পাঁচ জন ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে সিবিআই এবং আজ তাদের সিউড়ি ACJM আদালতে তোলা হয়েছে । বিজেপির কথার কোনো গুরুত্ব নেই । তারা মামলা করার আগেই বলে দেয় কে কোন মামলার আসামী । কোর্টে যখন পাঠানো হয়েছে তখন আইনের মাধ্যমে তাদের শাস্তি হবে । " সিউড়ি আদালতের আইনজীবী শাহরুক খান জানান , " গতকাল সিবিআই পাঁচজনকে গ্রেফতার করে কোর্টে তুলেছিল তাদের বিরুদ্ধে ভোট পরবর্তী হিংসা ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ আছে। তবে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এখনও প্রমাণ হয়নি। সিবিআই ওই পাঁচজনকে দুদিনের হেফাজতে চান এবং কোর্ট তাদের আর্জি মেনে নেন। আগামী ৬ তারিখ অভিযুক্ত পাঁচজনকে আবার কোর্টে তোলা হবে।"