উৎসবের মরশুমে ‘সবার পুজো’ অ্যাপের উদ্বোধন করা হল। পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশ সুপার সায়ক দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্ক ব্যানার্জি, অতিরিক্ত সুপার ট্রাফিক সুরজিৎ কুমার দে একটি সাংবাদিক বৈঠকের মাধ্যমে এই অ্যাপের উদ্বোধন করেন। প্লে স্টোরে এই অ্যাপ পাওয়া যাবে। এটি ইনস্টল করে নিজের জেলা সিলেক্ট করলেই সেই জেলার পুজোর গাইড ম্যাপ থেকে শুরু করে যে কোনও তথ্য পাওয়া যাবে।
advertisement
পুলিশ সুপার সায়ক দাস জানান, রাজ্য পুলিশের হেডকোয়ার্টার থেকে ‘সবার পুজো’ অ্যাপে পূর্ব বর্ধমান জেলার উল্লেখযোগ্য পুজোগুলি অন্তর্ভুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ৫০টি পুজো অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। আরও কিছু পুজো যুক্ত করা হবে। এখানে পুজোর লোকেশন থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ জরুরি নম্বরও থাকবে।
পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমান জেলাজুড়ে পুজোর সময় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৮ হাজার পুলিশ কর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, পূর্ব বর্ধমান জেলায় এবার প্রায় ৬২০০ দুর্গাপুজো হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ১২০০ বাড়ির পুজো। দুর্গাপুজোয় পূর্ব বর্ধমান জেলায় ৪ হাজারেরও বেশি পুজো কমিটি সরকারি অনুদানও পেয়েছে। বর্ধমান শহরে প্রচুর পরিমাণে পুলিশি ব্যবস্থা থাকবে। বর্ধমান শহরে প্রায় ৫০টি বড় পুজো হচ্ছে। এরমধ্যে ১৫টিতে খুব বেশি ভিড় হয় বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।
নিরাপত্তার জন্য বর্ধমান শহরকে ৫টি সেক্টরে ভাগ করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই ‘অ্যান্টিসাবোটেজ টিম’ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করছে। এছাড়াও পিসি পার্টি থাকছে। জেলায় ৮০০০ পুলিশ কর্মী থাকবেন। এরমধ্যে ৩০ শতাংশ বর্ধমান শহরেই থাকবেন। পিঙ্ক মোবাইল ভ্যান, উইনার্স টিম, অ্যান্টি রাউডি টিমের বাইক মোবাইল থাকবে। পাশাপাশি পুলিশের পক্ষ থেকে পাবলিক অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ থাকবে। সেখানে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা ও অ্যাম্বুলেন্স থাকবে। ট্রাফিক বিভাগের পক্ষ থেকে যান নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত একটি ভিডিও তৈরি করা হয়েছে।
পণ্যবাহী গাড়ি, বাস, ই-রিকশা চলাচলে বিধিনিষেধ থাকছে। ব্যক্তিগত ছোট চারচাকা গাড়ি শহরে চলাচল করবে। বিশেষত বর্ধমান শহরের ট্রাফিকের জন্য ডেডিকেটেড কন্ট্রোল রুম থাকছে। তার একটি নম্বরও থাকবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পুলিশ সুপার সায়ক দাস বলেন, মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানো, ঝুঁকি নিয়ে গাড়ি চালানো এবং দ্রুত গাড়ি চালানোর ক্ষেত্রে কঠোর আইনানুগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই বিষয়ে কয়েকটি এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। এই জায়গাগুলিতে বিশেষ নজরদারি চলবে। গাড়ির জন্য পার্কিংয়ের নির্দিষ্ট জায়গা করা হয়েছে। পুজোর মণ্ডপ এবং রাস্তার নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত সিসিটিভি থাকছে। মহকুমা অনুযায়ী থাকবে ড্রোনের নজরদারি।