শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার ভাঙড়ের সংঘর্ষে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লা৷ আইএসএফ কর্মীদের অভিযোগ, এদিন বেলা ১২ টা থেকে ভাঙড় দু নম্বর ভিডিও অফিস সংলগ্ন এলাকায় আইএসএএফ কর্মীদের আটকে রাখা হয়৷ তাঁরা জানায়, আইএসএফ কর্মীদের লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয় একের পর এক বোমা৷ গোটা এলাকা ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়৷ তারপরেই চলে এলোপাথাড়ি গুলি৷ তাতেই গুলিবিদ্ধ হন মহিউদ্দিন৷ এমনকি, সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্য করেও গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ৷
advertisement
আরও পড়ুন: মনোনয়ন ঘিরে তুমুল উত্তপ্ত চোপড়া! গুলিবিদ্ধ ৩, মৃত্যু একজনের, ৬ দিনে পঞ্চায়েতে বলি ৩
গুলি-বোমাবাজির জেরে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও তাঁরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে পারেননি বলে ক্যামেরার সামনে জানিয়েছেন কয়েকজন আইএসএফ সমর্থক৷ বেশ কিছু আহতকে কলকাতার আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলেও স্থানীয় সূত্রের খবর৷ অশান্তি আরও বাড়ার আশঙ্কা৷ সংঘর্ষের জেরে এলাকার ৭-৮টি গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর৷
এদিন মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় চোপড়ায় বাম কংগ্রেস প্রার্থীদের লক্ষ্য করেও গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, গুলিতে জখম হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে৷ আহত আরও ২ বাম কংগ্রেস-কর্মী।
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বড় চমক! এক মঞ্চে মমতা-অভিষেক, কাকদ্বীপ থেকে এবার কী বার্তা?
এদিন বাম কংগ্রেস প্রার্থীরা মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে চোপড়ার বিডিও অফিসে যাচ্ছিলেন৷ সেই সময় কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী তাঁদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। বিডিও অফিস থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে এই ঘটনা ঘটে৷ মনোনয়নের শেষ বেলায় রক্তাক্ত হয় উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া। আর এবার ভাঙড়ও৷
মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে গত ১৩ জুনও রীতিমতো রণক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল ভাঙড়। তৃণমূল-আইএসএফ সংঘর্ষে চলে গুলি, বোমা। গুলিবিদ্ধ হন এক আইএসএফ এবং এক তৃণমূল কর্মীও।
