West Bengal Panchayat Election 2023 Voting LIVE Updates : আর কিছু সময় পরেই শুরু ভোটগ্রহণ পর্ব, নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে?
ঘটনার পরে দোষীদের গ্রেফতার না হওয়া পর্যন্ত দেহ আটকে রাখার হুমকি দেন নিহত ব্যক্তির বাড়ির লোক ও গ্রামবাসী। আট ঘণ্টা পরেও রায়পুরে বাড়ির উঠোনে পড়ে থাকে দেহ। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসের কাছেও ঘটনার বিচার চেয়ে আর্জি জানান তাঁরা।
advertisement
স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহতের বাড়ি থেকে কিছু দূরে রায়পুর এলাকায় বৃহস্পতিবার থেকেই ঝামেলা হয় স্থানীয় তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে। সেই ঘটনা তিন জন কংগ্রেস কর্মী আহত হন। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পরে আবারও শুক্রবার কংগ্রেস কর্মী অরবিন্দকে তাঁর বাড়ি সামনে ঘিরে ধরে বেধড়ক মারধর করা হয়৷ ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান অরবিন্দ৷ গোটা ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত গুন্ডারা জড়িয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন অরবিন্দের বাড়ির সদস্যেরা।
আরও পড়ুন: বুথে বুথে পৌঁছে গেছেন ভোটকর্মীরা, কিন্তু সন্ধে নামলেই তো ‘তাদের’ উপদ্রব! অগত্যা…
অরবিন্দ পেশায় চাষি ছিলেন। বাড়িতে এক ছেলে ও এক মেয়ে এবং স্ত্রী। অরবিন্দরা ৩ ভাই। পরিবারের বড় ছেলে ছিলেন অরবিন্দ মণ্ডল৷ ভাইয়েরা হলেন শরবিন্দ মণ্ডল এবং অর্ধেন্দু মণ্ডল। নিহতের স্ত্রী অন্নপূর্ণা মণ্ডল বলেন, ‘‘কংগ্রেস করত বলেই খুন হতে হল। তৃণমূলের গুন্ডারা আমার স্বামীকে হত্যা করেছে। বাঁশ, লাঠি, লাথি মেরে খুন করা হয়েছে। আমার স্বামীকে যাঁরা মেরেছে তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
মৃতের ভাই শরবিন্দু মণ্ডল জানান, ‘‘এই এলাকায় হৃদয় মণ্ডল কংগ্রেস প্রার্থী। ও আমাদের জেঠতুতো ভাই৷ তাই রেগে মেরে দিল তৃণমূল। বাড়ির সামনে রাস্তায় চড়াও হয়েছিল। তারপর মারধর করে। রাজ্যপালের কাছে আর্জি জানাচ্ছি, দোষীদের শাস্তি দিক।’’
এদিন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী যান নিহতের বাড়িতে। পরিবারের সঙ্গে কথাও বলেন। গোটা ঘটনা শুনে অধীর বলেন, ‘‘ওঁর ভাই হৃদয় মণ্ডল কংগ্রেস প্রার্থী। তাঁর জন্য অরবিন্দ মণ্ডলকে হত্যা করা হল। আর কত রক্ত ঝরলে বন্ধ হবে এসব। রাজ্যপালকে জানানো হয়েছে।’’ এদিন অধীর রঞ্জন চৌধুরী নিহতের বাড়ি থেকে বেরনোর সময় ধমক দেন পুলিশ আধিকারিককেও। সব মিলে বলা যায় ভোটের আগের দিনও উত্তপ্ত পরিস্থিতি মুর্শিদাবাদে।
ARPITA HAZRA