অভিযোগ, গত মঙ্গলবার বড়ঞার বিডিও অফিসের মধ্যে পুলিশের সামনেই কংগ্রেস প্রার্থীর বিফর্ম অর্থাৎ প্রতীকের ফর্ম ছিনিয়ে নেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। কান্দি মহকুমা কংগ্রেস সভাপতি সফিউল আলম খান ও ব্লক সভাপতি আজাদ মল্লিককে নাকি বেধড়ক মারধরও করা হয়। ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় বড়ঞা বিডিও অফিস চত্বরে।
আর তারপরেই ঘটনার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেল থেকে রাতভর বড়ঞা বিডিও অফিসের সামনে খোলা আকাশের নীচে ধর্নায় বসে থাকেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। অভিযোগ, তাঁরা নিজের খরচে পাখার বন্দোবস্ত করতে চাইলেও ১৪৪ ধারা মোতায়েন থাকায় পাখা নিয়ে আসার অনুমতি দেয়নি প্রশাসন৷ তাই, প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই অবস্থান চালিয়ে যেতে হয় অধীরকে৷
advertisement
আরও পড়ুন: পঞ্চায়েতের মাঝেই লোকসভায় নজর! নীতীশের মেগা বৈঠকে যোগ দিতে পটনায় মমতা-অভিষেক
বুধবার সকালেই অবশ্য তিনি জানিয়েছিলেন, বিষয়টি নিয়ে হাইকোর্টে যাবে প্রদেশ কংগ্রেস৷ বেলা গড়াতেই হাইকোর্ট মামলা দায়ের করেন অধীর। প্রায় ২৪ ঘণ্টা ধর্না চলার পরে বিকেলে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশের পরেই ওঠে অধীরের অবস্থান৷ আদালতের নির্দেশে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে কংগ্রেস বিফর্ম জমা দিতে পারবে।
আরও পড়ুন: বাইডেন দম্পতিকে পশ্চিমবঙ্গে তৈরি এই উপহার দিলেন মোদি, তালিকায় চমকের পর চমক!
রায় ঘোষণার পরেই ধর্না শেষ করে বড়ঞা ডাকবাংলায় কংগ্রেস কর্মী সমর্থকদের নিয়ে মিছিল করেন অধীর। বলেন, ‘‘বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুলিশের উপস্থিতিতে কংগ্রেসের বিফর্ম জমা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন আদালতের বিচারপতি। অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমাদের অধিকারের লড়াই চালিয়ে যাব। হাইকোর্টের নির্দেশে এটা প্রমাণ হয়ে গেল কংগ্রেসের সঙ্গে অন্যায় হয়েছে। এই আন্দোলনে কংগ্রেসের জয় একটা নৈতিক জয় হল।’’ সেইসঙ্গে নির্বাচনী নথি বিকৃত করার অভিযোগে হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশে খুশি প্রকাশ করেন অধীর চৌধুরী।