পূর্ব মেদিনীপুরে তৃণমূলের বিশেষ দায়িত্ব প্রাপ্ত নেতা কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "হলদিয়া বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর। দুই বিদ্যুৎ না যাওয়া গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য কিছুদিন আগেই গ্রামবাসীদের কাছে ফর্ম বিলি শুরু হয়েছিল। হলদিয়া পুরসভার প্রশাসক ও পুলিশের সমন্বয়ে হলদিয়া টাউনশিপ ফাঁড়ি থেকে ফর্ম সংক্রান্ত কাজ চলেছে। মাননীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস সক্রিয় নজরদারি রাখায় দ্রুততার সঙ্গে কাজ হয়েছে।"
advertisement
এ দিন সকাল থেকেই গ্রামে গিয়েছেন বিদ্যুৎ দফতরের কর্মীরা। গ্রামে ক্যাম্প বসানো হয়েছে। যাঁরা যাঁরা বিদ্যুৎ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে চান তাঁদের থেকে আবেদন সেখানেই নেওয়া হয়েছে। যাতে চলতি মাসেই বিদ্যুৎ গ্রামের সব বাড়িতে চলে আসে সে বিষয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ করছে বিদ্যুৎ বণ্টন বিভাগ। এ দিন পূর্ব মেদিনীপুরে কুণাল ঘোষ জানিয়েছেন, "দ্রুত পদক্ষেপ নিচ্ছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। আমি হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিদ্যুৎহীন দু’টি গ্রাম ঘুরে দেখার পর অরূপকে জানাই। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেন।"
বিদ্যুৎ দফতরের প্রতিনিধিরা গ্রাম দেখে আসেন। সেখানে গিয়েছিলেন বিভাগের পদস্থ আধিকারিকের নেতৃত্বে টিম। বন্দরের জমি সংক্রান্ত আইনি জটিলতা আছে কিনা দেখা হচ্ছে। দু’টি গ্রাম। স্বাধীনতার পর থেকে এখনও যাদের বিদ্যুৎ আসেনি- হলদিয়া পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে বিষ্ণুরামচক এবং সৌতনপুর। দীর্ঘ বাম-জমানা এবং পরবর্তীকালে অধিকারীরাজ, বারবার আবেদন ছিল নিষ্ফলা।
গতকাল অবশ্য গ্রামবাসীদের তরফে অভিযোগ করা হয়েছিল, গ্রামে বিদ্যুৎ দেওয়ার ক্ষেত্রে বন্দর বাধা দিয়েছিল। তাদের জমিতে বিদ্যুতের খুঁটি পোঁতা নিয়ে আপত্তি ছিল। কুণালের দাবি, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ আছে, জল-বিদ্যুত পেতে কাউকে বাধা দেওয়া যায় না। আর মামলা হলে রাজ্য লড়বে। নতুন বছরের প্রথম দিনেই গ্রামে আলো জ্বলায় খুশি গ্রামবাসীরা।
আবির ঘোষাল