বুধন আঁকুড়েকে বধূ নির্যাতনের ঘটনায় ৩ বছরের সাজা এবং ১ হাজার টাকা জরিমানা ও বধূ হত্যার ঘটনায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায় এক বছরের জেল হেফাজতের সাজা শোনালো বর্ধমানের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড কোর্টের বিচারক অরবিন্দ মিশ্র।
advertisement
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম থানা এলাকার পূর্বতটী গ্রামের বুধন আঁকুড়ের সাথে বিয়ে হয়েছিল ভৈরবী আঁকুড়ের। তাদের দুটি পুত্রসন্তানও ছিল। বিয়ের পর থেকেই বুধন ভৈরবীর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। এমনকি তাকে প্রায়ই বাপের বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য চাপ দেওয়া হতো। ২০২০ সালে ২৮ অক্টোবর রাতে বুধন তার দুই ছেলের সামনেই ভৈরবীকে মাথায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করে। ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ভৈরবী। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে বনপাশ প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন ভোরে তার মৃত্যু হয়।
ঘটনার পরের দিন ভৈরবীর বাবা নিমাই আঁকুড়ে আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বুধনকে গ্রেফতার করে। আজ সেই মামলায় সাজা ঘোষণা করলেন বর্ধমান আদালতের ফাস্ট ট্র্যাক সেকেন্ড বিচারক অরবিন্দ মিশ্র।
সরকারি পক্ষে আইনজীবী মোল্লা মহাতাবুদ্দিন বলেন, “ভৈরবী আঁকুড়ের দুই ছেলের সামনেই এই ঘটনাটি ঘটেছিল। ঘটনার পরের দিন ভৈরবী আঁকুড়ের বাবা অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনা তদন্তে নেমে বুধন আঁকুড়েকে গ্রেফতার করে পুলিশ এবং তারপর থেকে সে পুলিশ হেফাজতে ছিল। বুধন ও ভৈরবীর দুই ছেলেই ঘটনায় প্রত্যক্ষদর্শী ছিল। তাদের গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে সাজা ঘোষণা করা হয়েছে।”
অভিযুক্তপক্ষের আইনজীবী বিষ্টু প্রসাদ সিল বলেন, “এই রায়ে আমরা সন্তুষ্ট নই। লিগ্যাল হেডের মাধ্যমে হাইকোর্টে আপিল করার চেষ্টা করব। ঘটনার সময় তার ছেলেরা যে সেখানে ছিল তাতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। এমনকি ফরেনসিক টেস্টে মৃতার রক্তের সাথে অভিযুক্ত গেঞ্জিতে লেগে থাকা রক্ত মেলেনি। আরও বিভিন্ন দিক রয়েছে। আমরা উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হব।”