লক ডাউনে কাজ হারিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ বেছে নিয়েছেন নতুন পেশা। অনেকে সবজি বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। অনেকে মাছ। অনেকে টোটো চালাতেন। তাঁরা টোটোয় ডাব তুলে বিক্রি করছেন। তেমনই তিনি এখন মিষ্টি বিক্রেতা।
advertisement
আপাতত তাঁর ঠিকানা এখন পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলীর দামোদরপাড়ার অনাথ আশ্রম। সেখানেই থাকছেন তিনি। খাওয়া দাওয়া রাত্রিবাস সেখানেই। সকালে উঠে হাঁটতে বেরচ্ছেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করছেন।
কাজ হারিয়ে মুখ শুকনো করে বসেছিলেন এক মিষ্টান্ন কারিগর। অন্য কোনও কাজ খুঁজছিলেন তিনি। তাঁকে দৈনিক তিনশো টাকা পারিশ্রমিকে মিষ্টি তৈরির কাজ দিয়েছেন অনাথ আশ্রমে। তাতে গো পালকের দুধ বিক্রি হবে। সেই দুধের ছানা বিক্রি করে সংসার চালাতে পারবেন ছানা বিক্রেতা। সেই ছানা থেকে তৈরি মিষ্টি খেতে পাবেন এলাকার বাসিন্দারা। এই ভাবনা থেকেই অনাথ আশ্রমে তৈরি হচ্ছিল মিষ্টি।
সেই মিষ্টি কৌটোয় ভরে বিক্রি চলছে। লাভের টাকায় অনাথ আশ্রমের উন্নয়ন অন্যতম উদ্দেশ্য। সেই লক্ষ্যেই মিষ্টির প্যাকেট নিয়ে ঘুরছেন তিনি। ইচ্ছে রয়েছে জেলাজুড়ে তা ছড়িয়ে দেওয়ার পরিকাঠামো তৈরির। আজ যেমন এই প্রবীন সেলস ম্যান মিষ্টি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন কালনার মহকুমা শাসক সৌরভ সুমন মোহান্তির কাছে। মহকুমাশাসক কিনলেন মিষ্টি। বললেন, অনাথ আশ্রমের উন্নয়নে ভালো উদ্যোগ। কিন্তু কে এই সেলস ম্যান? তিনি রাজ্য সরকারের প্রাণী সম্পদ বিকাশ মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ।
উদ্দেশ্যর কথা জানিয়ে মিষ্টি ভর্তি কন্টেনার তুলে দিলেন মহকুমা শাসকের হাতে। মহকুমা শাসক বললেন, এই মিষ্টির দাম আমি অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দেবো। মন্ত্রী বললেন, আমাকেই দিতে পারেন। আমিই সেলস ম্যান। তিনি বললেন, জেলা জুড়ে অনাথ আশ্রমের এই মিষ্টি বিক্রি ছড়িয়ে দেওয়াই এখন লক্ষ্য।