ধৃতের নাম দিল মোহাম্মদ। পেশা তার চুরি আর ডাকাতি হলেও বিলাসবহুল জীবনে বসবাস করাই তার অভ্যাস। আদতে নন্দীগ্রামের বাসিন্দা দিল মহম্মদ ছোটখাটো কাজ নিয়ে কয়েক মাস আগে পর্যন্তও সে থাকত দিল্লিতেই। সেখানে বার কয়েক বড়সড় চুরির ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে বামাল ধরা পড়ার পর মাস তিনেক আগেই হলদিয়ায় আসে সে। শিল্প শহরে এসে সে বসবাস করছিল হলদিয়ার রজলালচক এলাকায়। হলদিয়ারই এক ঠিকাদারের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটলে তার তদন্ত করতে নেমে দিল মহম্মদকে পাকড়াও করে হলদিয়ার পুলিশ। গ্রেফতারের পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, হলদিয়ার ভবানীপুর থানার ব্রজলালচক বাজার সংলগ্ন একটি ভাড়া বাড়িতে থেকেই সাগরেদদের নিয়ে অপারেশন চালাত দিল মোহম্মদ। ধৃতের আস্তানা থেকে পুলিশ প্রচুর পরিমাণে সোনার গয়না, দামি হাত ঘড়ি, নগদ দেড় লক্ষ টাকা এবং আরও কয়েক লক্ষ টাকার শৌখিন সামগ্রী উদ্ধার করেছে।
advertisement
আরও পড়ুন: লাইভ ভিডিও করে আত্মঘাতী গৃহবধূ! কেন ঘটালেন এমন ঘটনা? তোলপাড়...
সাংবাদিক সম্মেলন করেই হলদিয়ার এসডিপিও রহুল পান্ডে জানান, গত ২৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ হলদিয়া থানা এলাকায় ক্ষুদিরামনগরের বাসিন্দা শম্ভু জানা নামে এক ঠিকাদারের বাড়িতে হানা দিয়ে দিল মহম্মদ কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না ঘড়ি ও নগদ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল। ওই সময় ব্যবসায়ীর বাড়ির সামনে একজনকে বাইক নিয়ে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে প্রতিবেশী এক ব্যক্তি সেটা মোবাইলে ভিডিও করছিলেন। ওই ভিডিওতে বাইক আরোহীকে ঠিক চেনা যায়নি। তবে বাইকের সূত্র ধরে ব্রজলালচকে প্রিয়নাথ প্রাইমারি স্কুল সংলগ্ন একটি ব্যক্তির বাড়িতে হানা দেয় পুলিশবাহিনী। সেখানেই ধরা পড়ে দিল মহম্মদ। ধৃতের বাড়ি নন্দীগ্রামের কেন্দেমারি এলাকায়।
আরও পড়ুন: বৃষ্টি হয়েও রক্ষা নেই! আজও দক্ষিণের 'এই' জেলাগুলিতে চলবে তাপপ্রবাহ...
পুলিশ জানিয়েছে, দিল মহম্মদের দুটি বিয়ে। গত তিন মাস ধরে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে ব্রজলালচকের একটি বাড়ির তিন তলায় ভাড়ায় ছিল। বছরখানেক আগে চুরি করে দিল্লি থেকে পালিয়ে এসে নন্দীগ্রামে লুকিয়ে ছিল। দিল্লি পুলিশ ওই সময় নন্দীগ্রামে এসে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে গিয়েছিল। কুড়ি লক্ষ টাকার জাপানি রেসিং বাইক মিলেছিল। ৬ মাস জেল খাটার পর দিল মহম্মদ হলদিয়ায় ফেরে। হলদিয়ার ব্রজলালচকে থেকে হলদিয়ায় চুরি শুরু করে সে। শুধুমাত্র শম্ভু জানার বাড়ি থেকেই প্রায় ত্রিশ লক্ষ টাকার সোনার গহনা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র চুরি করেছিল। পুলিশের ধারণা আরও অনেক সোনাদানা অন্য কোথাও লুকিয়ে রেখেছে দিল মহম্মদ।
সুজিত ভৌমিক