ছৌয়ের মুখোশ। ঝুমুর গান। চেনে না মুখ। মানে না বয়স। মেঠো রাস্তা খুঁজে ফেরে যে কিশোর, লোকশিল্প তার রক্তে। রাঢ় বাংলার ধুলো মেখে ভাদু গানে যিনি মন ভোলান, শিল্প তাঁর সত্ত্বায়ও। পুরুলিয়া। পাহাড় আর পলাশের গায়ে লেপটে থাকে ভাদু-টুসু-করম-ছৌ।
লোকশিল্পের পরিচয় দিয়ে গিয়েছেন যে শিল্পীরা, তাঁরা কিন্তু পরিচিতি পাননি। অবহেলার যন্ত্রণা বুঝেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
advertisement
সরকারি লোকপ্রসার প্রকল্পের আওতায় নতুনভাবে বাঁচছেন শিল্পীরা।
মাসে মাসে সরকারি ভাতায় কেটেছে অভাব। বিভিন্ন সরকারি অনুষ্ঠানেও ডাক পাচ্ছেন লোকশিল্পীরা। নাচনি শিল্পীদেরও সম্মান দিয়েছে রাজ্য সরকার।
মুখোশের আড়াল থেকে বেরিয়ে তাঁদেরও একটা স্বতন্ত্র পরিচয়। হাসি ফুটেছে লোকশিল্পীদের মুখে।
রংচঙে সাজপোশাক। ঢাক-ঢোলের হুংকার। শিল্পের আড়ম্বর। এসবের মাঝেই কোথাও যেন হারিয়ে গিয়েছিল পরিচয়টাই। মুখোশ আর মুখকে আলাদা করে চিনিয়েছে রাজ্য সরকার। আলো পড়েছে লোকশিল্পীদের জীবনে।