স্থানীয় মানুষের প্রচেষ্টায় আশঙ্কাজনক অবস্থায় পুলিশ গিয়ে উদ্ধার করেছে জামাইকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জখম ওই ব্যক্তির নাম আব্দুল রহমান। শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের দাবি, মেয়েকে জামাই দেখত না, মারধর করত, সব সময় বাপের বাড়ি থেকে টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য চাপ দিত। পনের দাবিতে মেয়ের ওপরে অত্যাচার চালাত দিনের পর দিন।
advertisement
আরও পড়ুন: বড় খবর! নির্বাচন পিছলে রাজ্যের আপত্তি নেই, ১২ ফেব্রুয়ারি ভোটের সম্ভাবনা, সিদ্ধান্ত কিছুক্ষণেই...
তবে অভিযুক্ত পরিবারের দাবি, জামাইকে কেউ গাছে বাঁধেনি। নিজে নিজেই সে নিজেকে গাছের সঙ্গে বেঁধে নেয়। তারপর তাদের ওপরে দোষ চাপিয়েছে। তবে, গ্রামবাসীদের দাবি শ্বশুরবাড়ির লোকজন গাছে বেঁধে মারধর করে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহতের স্ত্রী গর্ভবতী হয়ে বাড়ি আসেন মাস কয়েক আগেই। তারপর সম্প্রতি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানকে দেখতেই শুক্রবার শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন জামাই। পরিবারের দাবি, এ দিনও আব্দুল তার স্ত্রীকে মারধর করেন। তাতেই ক্ষেপে ওঠেন পরিবারের সদস্যরা। এরপর একটি গাছে বেঁধে ব্যাপক মারধর করা হয় তাঁকে।
এ দিকে, ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় ঘণ্টা চারেক পরে গ্রামবাসীরাই খবর দেন পুলিশে। পুলিশ গিয়ে প্রায় 'আধ মরা' অবস্থায় পড়ে থাকা জামাই আব্দুলকে উদ্ধার করে বারাসাত হাসপাতালে নিয়ে যান। জামাইয়ের অবস্থা আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে, এই ঘটনায় আহত হয়েছেন শ্বশুরও। তিনিও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।