আগেই পানশালাগুলিতে(West Bengal Bars) সিসিটিভি বসানোর নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে এ বার সিসিটিভি ক্যামেরায় আইপি এবং জিপিএস(CCTV Camera with GPS) সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে, যাতে আবগারি দফতরের(Excise Department) আধিকারিকরা নিজেদের দফতরে বসে সরাসরি পানশালার ভিতরের ফুটেজ পান।
সমস্ত পানশালার উদ্দেশে ওই নির্দেশিকা প্রকাশ করে রাজ্য আবগারি দফতর। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে যাবতীয় নির্দেশ কার্যকর করতে বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, লাইসেন্সপ্রাপ্ত সমস্ত পানশালা এবং পানশালার বর্ধিত অংশে সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে। এমন ভাবে ক্যামেরা বসাতে হবে, যাতে গোটা কাউন্টার সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে থাকে। শুধু ভিডিয়ো ফুটেজ থাকলেই চলবে না। কথাবার্তাও যেন শোনা যায়।
advertisement
পানশালার প্রবেশ এবং বাইরে বেরনোর দরজা, পানশালার ভিতরের পুরো অংশ এবং পানশালার বর্ধিত অংশ, সবকিছুকেই সিসিটিভির আওতায় আনার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য। সন্ধ্যায় পানাশালা খোলার এক ঘণ্টা আগে থেকে ভোর ৪টে পর্যন্ত সিসিটিভি ক্যামেরা চালু রাখতে বলা হয়েছে। যে দিন মদ পরিবেশন করা হবে না, সে দিনের ফুটেজও রেকর্ড করে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পানশালাগুলিকে। ফুটেজ রেকর্ড করার পর ৩০ দিন পর্যন্ত তা নষ্ট করা যাবে না।
শুধু তাই নয়, সিসিটিভি ক্যামেরার গুণগত মানও ঠিক করে দিয়েছে রাজ্য। বলা হয়েছে, হাই ডেফিনিশন রেজলিউশনের সিসিটিভি ক্যামেরা বসাতে হবে, যাতে পরিষ্কার ভাবে পানশালার ভিতরের দৃশ্য ধরা পড়ে। প্রতি সেকেন্ডে কমপক্ষে ২৫টি ফ্রেম থাকতে হবে। কমপক্ষে ৭ দিনের ব্যাকআপ থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে তা আবগারি দফতরের হাতে তুলে দিতে হবে। সিসিটিভি ক্যামেরায় যে প্রযুক্তি থাকবে, তা যেন আইপি নির্ভর হয়, তা-ও স্পষ্ট করে দিয়েছে আবগারি দফতর, যাতে প্রয়োজনে লাইভ ভিডিয়ো আকারে, অনলাইন মাধ্যমে তা আবগারি দফতরকে দেওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, করোনা বাড়বাড়ন্তের মধ্যেই বার বার অভিযোগ আসে শহর কলকাতা-সহ বিভিন্ন পানশালাগুলি মধ্যরাত পর্যন্ত খোলা রাখার। এর আগেও ভবানীপুর ও পার্ক স্ট্রিট অঞ্চলে হানা দিয়ে বেশ কিছু বার ও রেস্তোরায় ধর-পাকর চালায় পুলিশ। কিন্তু তারপরেও ঠেকানো যাচ্ছে না বিধি ভঙ্গের একের পর এক ঘটনা। এবার তাই আরও কড়া সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে রাজ্য সরকার।