জঙ্গলের বিষধর সাপ ও নেকড়ে সহ হিংস্র জন্তু জানোয়ারের আক্রমণের পরোয়া না করেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ওই ছাতু সংগ্রহ করেন কিছু স্থানীয় বাসিন্দা। তার পরে জঙ্গল পেরিয়ে ওই ছাতু শহরের বাজারে নিয়ে এসে বিক্রি করেন তাঁরা। ছাতু সংগ্রহ করা ঝুঁকিপূর্ণ ও খাটুনির হলেও এটি জঙ্গলমহলের মানুষের রুটি-রুজির ভরসা বর্ষার মরশুমে। বছরের ঠিক বর্ষাকালে দুর্গাপুরের বিভিন্ন বাজারে দেখা মেলে ছাতু সম্ভার নিয়ে বসে আছেন জঙ্গলমহলের মানুষগুলি। আর খাদ্যরসিক বাঙালিরা ওই ছাতু কিনতে ভিড় জমাচ্ছেন।
advertisement
বিক্রেতাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, জঙ্গলে প্রাকৃতিকভাবেই গজিয়ে ওঠে এই নানা প্রজাতির ছাতু। পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুরের গড় জঙ্গল শাল – পিয়াল গাছের জঙ্গল। তাই ওই জঙ্গলে শাল ছাতু হয়। এছাড়াও উঁই ঢিবি থাকায় সেখানে উঁই ছাতু হয়। এছাড়াও কুড়কুড়ি ছাতু, দুবড়ি ছাতু, ফরকা ছাতু, অষ্টমী ছাতু সহ বিভিন্ন প্রজাতির ছাতু উৎপাদন হয়ে থাকে। কাঁকসা ব্লক ও দুর্গাপুর – ফরিদপুর ব্লকের বহু মানুষ ভোরবেলায় জঙ্গলে ঘুরে ঘুরে এই সমস্ত ছাতু সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এই সময় তাঁদের রুজিরোজগার জোটে এই ছাতু বিক্রি করে। তাঁদের দাবি, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া ছাড়াও দুর্গাপুরের জঙ্গলমহলে নানা প্রজাতির ছাতু মেলে। এই ছাতু অত্যন্ত সুস্বাদু। পাশাপাশি খাদ্যগুণে ও পুষ্টিগুণে ভরা। তাই বাজারে এর চাহিদাও রয়েছে। তবে সঠিক ছাতু না চিনে ভুলেও জঙ্গল থেকে তুলে খেতে যাবেন না। হতে পারে প্রানহাণীর মত দুর্ঘটনা।
দীপিকা সরকার