এছাড়াও কালী, দুর্গা, রাধাকৃষ্ণের মূর্তি-সহ সমস্ত ঠাকুরই গড়ে তোলে নিপুণতার সঙ্গে।মূর্তি গড়ে যে পারিশ্রমিক পায়, তা সে সঞ্চয় করছে সযত্নে। বর্তমান যুগে এই বিরল প্রতিভার অধিকারী হওয়ায় স্কুল-সহ এলাকায় সকলের নয়নের মণি হয়ে উঠেছে ছোট্ট লোকেশ।স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুরের অণ্ডাল থানার শ্রীরামপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর ১০-এর লোকেশ ঘোষ। তার বাবা জীবন ঘোষ দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের ঠিকা শ্রমিক। মা অঞ্জনাদেবী গৃহবধূ। তাঁদের দুই কন্যাসন্তানের বিবাহ হয়ে গিয়েছে। এক মাত্র পুত্র লোকেশ গ্রামের আর পাঁচটা শিশুদের থেকে একেবারেই ভিন্ন চরিত্র তার। শান্ত নিরীহ স্বভাবের লোকেশ ছোটো থেকেই নিজের হাতে কিছু না কিছু সৃষ্টি করতে ভালবাসে।
advertisement
কোনও প্রশিক্ষণ ছাড়াই সে নিজেই খুব সুন্দর ছবি আঁকে।যে কোনও অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করলেই সে প্রথম হয়। তার দাবি, মোবাইল ফোনে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউবের ভিডিও দেখে ছবি আঁকা ও দেবদেবীর প্রতিমা তৈরির কৌশল করা শিখেছে সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টায়। তার জীবনের শখ ভাল কীর্তনিয়া হওয়ার। তাই সে কীর্তনের গান শেখে। এবং বর্তমানে নানান মঞ্চে রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে শ্রীকৃষ্ণলীলা কীর্তনের সঙ্গীত পরিবেশন করে। পঞ্চম শ্রেণীর প্রতিভাবান পড়ুয়া লোকেশ পড়াশোনাতেও বেশ মেধাবী।
আরও পড়ুন : ২.৫ লক্ষ টাকা দামের পোষা ম্যাকাওকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু যুবকের
মাত্র ১০ বছর বয়সে সে নিজেই নিজের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলেছে। তার মনের ইচ্ছে পূরণ করতে তার বাবা ও মা-সহ পরিবারের সকলে তাকে সবরকম ভাবে সহযোগিতা করেন। এ বছর সে তার নিজের স্কুলের জন্য সরস্বতী প্রতিমা গড়ছে। পাশাপাশি গ্রামের বিভিন্ন পুজোর জন্য প্রায় ১০ টি সরস্বতী প্রতিমা গড়ে তুলছে।