TRENDING:

পুলিশ কর্মীদের মানবিক উদ্যোগ, বানিয়ে ফেললেন আস্ত স্কুল! এবার মিড ডে মিল নিয়েও বড় পরিকল্পনা

Last Updated:

পুলিশের তৈরি স্কুলে মিড-ডে মিল কীভাবে চালু করা যায়, সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। ইতিমধ্যেই পুরসভাকে জানান হয়েছে।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
দুর্গাপুর, দীপিকা সরকার: দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়াদের পঠনপাঠনের জন্য স্কুল গড়ে নজির গড়েছে আসানসোল – দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ। শুধু আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা বা অপরাধের তদন্ত নয়, সময় পেলে এখানে কচিকাঁচাদের ক্লাসও নেয় পুলিশ। গত প্রায় ১৩ বছর ধরে দুর্গাপুরের ওয়ারিয়ার বাসিন্দাদের অভিজ্ঞতাটা ঠিক এমনই। এলাকার দুঃস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার সুযোগ করে দিতে স্কুল খুলেছেন দুর্গাপুর থানার ওয়ারিয়া ফাঁড়ির পুলিশকর্মীরা। সেখানে কে জি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে পড়ুয়ারা।পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১২ সালে চালু হয় ওই  স্কুলটি। স্কুলের নাম দেওয়া হয় ‘দৃষ্টি’। গোড়ায় শুধু পুলিশকর্মীরাই পড়াতেন। অস্থায়ী বাঁশ, খড়ের ঘরে ক্লাস হত। কয়েক বছর আগে এখানে পাকা তিনটি ঘর হয়েছে।
advertisement

বাংলা ও হিন্দি মাধ্যমে পড়াশোনা করানো হয়। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত মোট পড়ুয়ার সংখ্যা ৬৫ জন। কাদা রোড, গ্যামন কলোনি, মেনগেটের মতো বিভিন্ন  এলাকা থেকে পড়ুয়ারা আসে। অভিভাবকদের কেউ দিনমজুর, কেউ ভ্যান চালান, কেউ কোনও দোকানে বা কারও বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করেন। কাজে বেরনোর আগে তাঁরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পৌঁছে দিয়ে যান। প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্কুল চলে। বই-খাতা থেকে শুরু করে স্কুলের পোশাক, সবেরই ব্যবস্থা করা হয় স্কুল থেকে। বর্তমানে ওই স্কুলে সাত জন  শিক্ষিক – শিক্ষকা রয়েছেন। সময়-সুযোগ পেলে পুলিশকর্মীরাও পড়ান। পুলিশকর্মীরা ওই দুঃস্থ পরিবারের  বাড়ি-বাড়ি ঘুরে পড়ুয়াদের স্কুলমুখী করেন।

advertisement

আরও পড়ুন: মাথায় হাত দুষ্কৃতকারীদের! অনুব্রত মণ্ডলের নির্দেশে বোলপুরে যে ব্যবস্থা নিল পুলিশ! শান্তিতে ঘুমাবেন বাসিন্দারা

View More

পশ্চিম বর্ধমানের ওই পড়ুয়াদের পড়ানোর মত আর্থিক সঙ্গতি পরিবারগুলির নেই। পুলিশের এহেন উদ্যোগের জন্য আজও বহু খুদে পড়াশোনা করার সুযোগ পাচ্ছে।যদিও স্কুলটি এখনও সরকারি অনুমোদন পায়নি। ফলে স্কুলের পড়ুয়ারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা থেকে এখনও বঞ্চিত রয়ে গিয়েছে। আপাতত পড়াশোনার সামগ্রী, স্কুলের পোশাক সহ প্রতিদিন স্কুল থেকে টিফিনও দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি (দুর্গাপুর) সুবীর রায় জানান, ‘‘এলাকার দুঃস্থ পরিবারের পড়ুয়াদের কাছে পড়াশোনার সুযোগ পৌঁছে দিতেই এই উদ্যোগ।’’

advertisement

আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
দুর্গাপুরের গৃহবধূর তাক লাগানো বিজনেস আইডিয়া! অবসর সময়ে বানাচ্ছেন 'এইসব' জিনিস
আরও দেখুন

স্কুল পরিচালনা কমিটির দ্বায়িত্বে থাকা বিশিষ্ট সমাজসেবী তথা কংগ্রেস নেতা তরুণ রায় জানান, পশ্চিম বর্ধমান জেলায় যখন পুলিশ কমিশনারেট গঠন হয়েছিল। তখন পুলিশ কমিশনার অজয় নন্দা উদ্যোগ নিয়ে বিভিন্ন থানার ফাঁড়িগুলিতে এই স্কুল খুলেছিলেন। অধিকাংশ বন্ধ হয়ে গেলেও ওয়ারিয়া ফাঁড়ি লাগোয়া স্কুলটি সুন্দরভাবে এখনও চলছে। বিভিন্ন সরকারি – বেসরকারি সংস্থার সামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পে অর্থ বরাদ্দ করে কংক্রিটের ক্লাসরুম হয়েছে। এছাড়াও একাধিক সংস্থাকে আর্জি জানান হয়েছে। ওই স্কুলে মিড-ডে মিল কীভাবে চালু করা যায়, সেই ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। ইতিমধ্যেই পুরসভাকে জানান হয়েছে।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
পুলিশ কর্মীদের মানবিক উদ্যোগ, বানিয়ে ফেললেন আস্ত স্কুল! এবার মিড ডে মিল নিয়েও বড় পরিকল্পনা
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল