ধৃতদের নাম কুরবান আলি ও রাকেশ মোল্লা। তাদের থেকে উদ্ধার হয়েছে একটি বন্দুক। শনিবার তাদের কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হয়। এদিন ধৃত কুরবান আলি শেখ জানায়, এই অস্ত্রটি অন্য জায়গায় বিক্রি করার পরিকল্পনা ছিল তার। সেই সময় পুলিশ তাকে হাতেনাতে ধরে।
আরও পড়ুন- East Medinipur News|| ৫০০ কেজি ওজন! দিঘা মোহনায় দানব মাছ দেখে পর্যটকদের চক্ষু চড়কগাছ
advertisement
কোথা থেকে সেএই বন্দুক কিনেছিল? তার উত্তরে উঠে এসেছে একাধিক অসঙ্গতি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ধৃতদের এদিন কালনা মহকুমা আদালতে তোলা হলে আদালত তাদের তিন দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।
সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে অস্ত্রের কেনাবেচা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সন্ধের পর থেকেই জেলার বিভিন্ন প্রান্তে নাকা চেকিং করছে পুলিশ।
দুদিন আগেই আউশগ্রামে প্রচুর সংখ্যক তাজা বোমা উদ্ধার হয়েছে। বর্ধমান শহরেও আগ্নেয়াস্ত্র সহ এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এরপর এস টি এফের অভিযানে অস্ত্র পাচারের অভিযোগে দু জনকে গ্রেফতার করা হলো।
p style="text-align: justify;">এস টি এফ সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ থেকে এই জেলা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে অস্ত্র পাচার হচ্ছে বলে আগেই অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে গোপনে তদন্ত শুরু হয়। এরপর কুসুমগ্রাম নবদ্বীপ রোডের একটি জায়গায় ওই অস্ত্র হাতবদল হবে বলে এস টি এফ এর কাছে নির্দিষ্ট খবর আসে। সেই খবরের ভিত্তিতেই অভিযানে নামে এস টি এফ।
সাদা পোশাকের তদন্তকারী পুলিশ অফিসাররা এলাকায় ছড়িয়েছিল। ওই দুজন এক জায়গায় হতেই তাদের হাতেনাতে গ্রেফতার করা হয়। কোথায় কোথায় তারা অস্ত্র পাচার করে করে থাকে, কতদিন ধরে তারা এই কারবার চালাচ্ছে, এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তা জানতে ধৃতদের বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করছে এস টি এফ।
আরও পড়ুন- সরকারি ভুলে ‘দত্ত’ হল ‘কুত্তা’, পদবী বিভ্রান্ত শ্রীকান্তি দুয়ারে সরকারে রব তুললেন ‘ঘেউ-ঘেউ’
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় মজুত থাকা বোমা ও অস্ত্র উদ্ধারে বিশেষভাবে তৎপর রয়েছে পুলিশ। সেই সঙ্গে যাতে বাইরে থেকে অস্ত্র, বোমা না ঢুকতে পারে, তাই সতর্ক দৃষ্টি রাখা হচ্ছে। গাড়ি দাঁড় করিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ধারাবাহিকভাবে এই অভিযান চালানো হবে।