প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, শুক্রবার সন্ধ্যায় খড়গ্রাম থানার অন্তর্গত রতনপুর নলদীপ গ্রামে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদ শেখের। সেই ঘটনায় মোট ১৫জনের বিরুদ্ধে খড়গ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। শুক্রবার রাতেই গ্রেফতার করা হয় সাফিরুল শেখ ও কাজল শেখকে। ধৃত দুইজনকে শনিবার কান্দি মহকুমা আদালতে তোলা হলে সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন কান্দি মহকুমা আদালতের বিচারক ভাস্কর মজুমদার। এবার সেই খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল ইমরান শেখকে। ফলে খুনের ঘটনায় মোট তিনজনকে গ্রেফতার করল খড়গ্রাম থানার পুলিশ।
advertisement
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় বিপুল বদল আবহাওয়ায়, বৃষ্টি শুরু হবে জেলায় জেলায়! কলকাতা নিয়ে চরম ‘দুশ্চিন্তা’
শনিবার সকালেই মুর্শিদাবাদ জেলা কান্দি মহকুমা হাসপাতালে কংগ্রেস কর্মী খুনের পর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন অধীর চৌধুরী। মৃতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন পাশাপাশি আহতের পরিবারের সঙ্গেও কথা বলেন। হাসপাতাল থেকেই পুলিশের ডিজিকে দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে ফোন করেন। প্রসঙ্গত নিহত ফুলচাদ শেখ পঞ্চায়েত নির্বাচনে কংগ্রেসের প্রার্থী দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চালাচ্ছিল বলেই তাকে খুন করা হয়েছে বলে পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: খেতে ভাল লাগুক বা না লাগুক, কলার মোচা এই ভয়ানক রোগ থেকে রেহাই দেবেই!
নলদ্বীপ গ্রামের তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাকিব শেখের বাড়িতেই ধৃত কাজল শেখ ও সফিক শেখ অনেক আগে থেকেই অপেক্ষা করছিল বলে পরিবারের অভিযোগ। সেখানেই তারা আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা মজুত করে রেখেছিল। মা মেরিনা বিবি বলেন, ‘আমার অন্য ছেলে সোপুল্লাকে খুন করার জন্য এসেছিল, ওকে না পেয়ে ফুলচাদকে গুলি করে। সেই সময় ওরা বলে একে খুন করলে কংগ্রেসের তাও একটা ভোট কমবে । আমি এর বিচার চাই। ধৃত কাজল শেখ ও সফিক শেখ এলাকায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী বলে পরিচিত। এদের নামে আগেও একাধিক অভিযোগ রয়েছে।’
তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য রাকিব শেখের অনুগামী হিসাবেই তারা পরিচিত। এদিন অধীর চৌধুরী দাবি করেন, ‘ফুলচাঁদ শেখকে খুন করে কংগ্রেসকে ভয় দেখানো যাবে না। এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী বুলেটের শাসন চালাচ্ছেন। ঠিক ভাবে ভোট হলে তৃণমূলকে খালি হাতে ফিরতে হবে সেটা বুঝে গেছে, আর সেই কারণে বুলেটের ভয় দেখিয়ে ভোট করাতে চাইছে।’ তৃণমূলের উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলার চেয়ারম্যান কানাই মণ্ডল বলেন, ‘এটা পারিবারিক কারণে খুন। এখন আমাদের নামে দোষারোপ করা হচ্ছে। পুলিশ নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করলে সঠিক তথ্য উঠে আসবে।’ কংগ্রেস কর্মী খুনের পরে অধীর চৌধুরী রাজ্যপালকে চিঠি লেখেন হস্তক্ষেপ চেয়ে । তিনি চিঠিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে পঞ্চায়েত ভোট করানোর আবেদন জানান। ঘটনায় নিহত ও আহতদের বিবরণ দিয়ে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুন করেছে বলে অভিযোগ করেন চিঠিতে।
প্রণব বন্দ্যোপাধ্যায়