TRENDING:

বাংলার 'এই' জলের ট্যাঙ্কে বয়ে চলেছে ১০০ বছরের ইতিহাস! জানলে চমকাবেন

Last Updated:

পুরনো জলের ট্যাঙ্ক বয়ে চলেছে ১০০ বছরের ইতিহাস, মেদিনীপুর শহরের প্রতিষ্ঠা হয় ব্রিটিশ সময়ে, তবে ইতিহাস জানলে অবাক হবেন।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
পশ্চিম মেদিনীপুর: প্রাচীনত্বের ক্রমবর্ধমান ধারাকে বয়ে নিয়ে চলেছে মেদিনীপুর। শতবর্ষ পুরনো এই শহরে রয়েছে নানা ইতিহাস। একদিকে ইতিহাস অন্যদিকে ঐতিহ্যকে বহন করে চলেছে ঐতিহাসিক মেদিনীপুর। মেদিনীপুর যেমন বিপ্লবের জেলা তেমনই জেলার বেশ কিছু স্থাপত্য শত বছরের ইতিহাসকে বহন করে। তৎকালীন ব্রিটিশ যুগে শুধুমাত্র অত্যাচার কিংবা বিপ্লব সংঘটিত হয়নি, মেদিনীপুরে হয়েছে উন্নয়ন। সাধারণ মানুষের কথা ভেবে মানুষের কাছে পরিষেবা পৌঁছে দিতে রাজাদের উদ্যোগে এবং আর্থিক সহযোগিতায় গড়ে ওঠে একাধিক জিনিস। মেদিনীপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হয় সুবিশাল জলের ট্যাঙ্ক। যা বেশ অনেক বছর মেদিনীপুরের আনাচে-কানাচে জল সরবরাহ করেছে।
advertisement

আরও পড়ুন- অভিষেক এখন অনেক দূরে! শুরু থেকেই হৃদয়ে রয়ে গেলেন একজনই? ঐশ্বর্যর ফোনের ওয়ালপেপারে কার ছবি এটা? দেখলে চমকাবেন

তবে সেই ঐতিহ্য ও স্থাপত্যকে বাঁচিয়ে রেখেছে মেদিনীপুর। শতবর্ষে পা দেওয়ার মেদিনীপুরের পুরানো জল ট্যাঙ্কের ইতিহাস আপনাকে অবাক করবে।বিপ্লবের জেলা মেদিনীপুর। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সদর শহর মেদিনীপুরে মেদিনীপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় রয়েছে শতবর্ষে পা দেওয়া পুরানো জলের ট্যাঙ্ক। চারিদিকে ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা বেশ কয়েক হাজার গ্যালন ক্ষমতা সম্পন্ন এই পুরানো জল ট্যাঙ্ক। ইতিহাস ঘেঁটে জানা যায় আজ থেকে প্রায় একশো বছর আগে ১৯২৪ সালে মেদিনীপুর শহরে উচ্চতম স্থান স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় জলাধার নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুউচ্চ এবং বেশ কয়েক হাজার লিটার ক্ষমতাসম্পন্ন এই জলের ট্যাঙ্ক। যা বেশ কয়েক বছর ধরে গোটা মেদিনীপুর পৌর এলাকা জুড়ে পানীয় জল সরবরাহ করেছে।

advertisement

আরও পড়ুন- ডিউটিতে যাচ্ছিলেন নার্স, স্কুটি থেকে ফেলে ঝোপে টেনে গণধর্ষণ! গোপনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হল লঙ্কা গুঁড়ো!

প্রায় দেড়শো বছর আগে মেদিনীপুর পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলেও সাধারণ মানুষের মধ্যে নানান সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়নি। পৌরসভা প্রতিষ্ঠার ৬০ বছর পরে জনস্বাস্থ্য দফতরের উদ্যোগে এই ট্যাঙ্ক প্রতিষ্ঠা করা হয়। জানা যায়, এই জলাধার নির্মাণের জন্য ময়ূরভঞ্জের রাজা, বর্ধমানের রাজা, মহিষাদলের রাজা সহ ২৮ জনঅর্থ সাহায্য করেন। এছাড়াও একাধিক সামাজিক এবং মানুষের উপকারে কাজ করেছেন রাজা নরেন্দ্রলাল খান। মনে করা হয়, একাধিক কল স্থাপনের জন্য অর্থ সাহায্য করায় এই ট্যাঙ্কের নাম হয় রাজা নরেন্দ্রলাল খানের নামে।

advertisement

প্রসঙ্গত পাথুরে এলাকা জঙ্গলমহলের পশ্চিম মেদিনীপুর। স্বাভাবিকভাবে পৌর এলাকায় মানুষের বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার জন্য এই জলাধার নির্মাণ করা হয়। ইটের দেওয়াল দিয়ে ঘেরা, চারিদিকে ১২ টি আর্চের মত বিম দিয়ে তৈরি এই বিশাল জলাধার। শুধু মানুষের কাজেই যে ব্যবহৃত হয়েছে তা নয়, এই জলাধার বহন করে চলেছে সুদীর্ঘ ১০০ বছরের ইতিহাসকে। মেদিনীপুর জেলার ল্যান্ডমার্ক শহরের পুরানো জল ট্যাঙ্কি।

advertisement

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
পুরীর রথ এবার রঘুনাথপুরে, থিমে মন কাড়ছে আপার বেনিয়াসোলের দুর্গাপুজো মণ্ডপ
আরও দেখুন

রঞ্জন চন্দ

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
বাংলার 'এই' জলের ট্যাঙ্কে বয়ে চলেছে ১০০ বছরের ইতিহাস! জানলে চমকাবেন
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল