বানপুর বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি লিমিটেডের প্রাক্তন কর্মী আশিস বাগ জানিয়েছেন “ বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে দাঁড়িয়ে যারা কর্মী ছিলাম তাদের খুব কষ্টের দিন। চোখের জলে এই কারখানায় ঢুকেছিলাম তার কারণ বাবার মৃত্যুর পরে সেই কোটায় আমি এখানে চাকরিতে জয়েন করি। তারপরে সেই চোখের জল নিয়েই আবার এই কারখানা থেকে ফিরতে হয়। একটা সময় এ কারখানায় সাইকেল নিয়ে শ্রমিকেরা লাইন ধরে আসতেন”। বার্ন স্ট্যান্ডার্ড কোম্পানি লিমিটেড বার্নপুরে ১৯১৯ সালে স্থাপিত হয়েছিল। এখানে রেলের বিভিন্ন জিনিসপত্র তৈরি করা হত। এমনকি ১৯৩৯ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় কামানের খোলও তৈরি করা হয়েছিল। হাওড়া ব্রিজ থেকে শুরু করে বিদ্যাসাগর সেতু, বালি ব্রিজ, মেট্রো রেল ও রেলের বিভিন্ন সরঞ্জাম তৈরি করা হয়েছিল এই কারখানা থেকে।
advertisement
আরও পড়ুন : বেতন বৃদ্ধি! প্রোমোশন! ভাদ্র সংক্রান্তিতে বিশ্বকর্মা পুজোয় শুক্র গোচরে ভাগ্যের দরজা খুলে মালামাল এই ৩ রাশি
সেই সময় কারখানায় শ্রমিকদের পায়ের শব্দ ও কণ্ঠস্বরে গমগম করত এলাকা। হত ধুমধামের সঙ্গে বিশ্বকর্মা পুজো। যা একটা উৎসবের আবহাওয়ার চেহারা নিত। প্রায় ৭৪ টি বিভাগে ৭৪টি প্রতিমা তৈরি হত। রীতিমতো একটি প্রতিযোগিতা হত। থাকত বিরাট খাওয়া দাওয়ার আয়োজন। বেশ চলছিল। কিন্তু আচমকাই নেমে এল এক এমনই ছায়া যাতে কর্মীদের হৃদয়ের পাঁজরটা ভেঙে গেল। ২০১৮ সালে কোনও এক কারণে এই কারখানা বন্ধ হয়ে যায়।
কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আর হয় না বিশ্বকর্মা পুজো। তাই পুজো আসলে কর্মীদের মধ্যে সেই দিনের স্মৃতি চোখের সামনে ভেসে ওঠে। আজও নেমে আসে চোখের কোণে জল। একরাশ বিষাদ নিয়ে থাকেন তাঁরা। তবে আগামী দিনে কি এখানে ফের হবে বিশ্বকর্মা পুজো? সেই আশায় এখনও প্রহর গুনছেন কর্মীরা।