বিশ্বভারতী এবং রাজ্য সরকারের বিরোধ শুরু বোধহয় সেই পাঁচিল তোলা সময় থেকে৷ তারপরে অজয়-দামোদর দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে৷ এমনকি, নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনের পৈতৃক বাড়ির জমি নিয়েও জট পেকেছে৷ একের পর এক নোটিস পাঠিয়েছে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিশ্বভারতী৷ চলছে মামলা৷ অমর্ত্য সেনের সঙ্গে দেখা করে, তাঁর হাতে প্রয়োজনীয় নথিপত্র তুলে দিয়ে পাশে থাকার বার্তা দিতে গেছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও৷
advertisement
আরও পড়ুন: চলন্ত জম্মু-তাওয়াই এক্সপ্রেসে মধ্যরাতে ডাকাতি! পরপর গুলি, রক্তাক্ত বহু যাত্রী, দেদার লুট
এবার, সেই বিতর্কের তালিকায় যুক্ত হল আরেকটি বিষয়৷ সূত্রের খবর, সম্প্রতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী৷ সেখানে শান্তিনিকেতন পোস্ট অফিস মোড় থেকে কালীসায়র পর্যন্ত যে রাস্তা রয়েছে, সেই রাস্তাটি আবারও যেন বিশ্বভারতীকে ফেরত দেওয়া হয় তার আবেদন জানিয়েছেন তিনি।
পাশাপাশি, পিডব্লিউডির হাতে শান্তিনিকেতন ক্যাম্পাসের ভিতরের যে রাস্তাগুলি রয়েছে সেই রাস্তাগুলিও যেন বিশ্বভারতী রক্ষণাবেক্ষণ এবং দেখাশোনা করতে পারে, বা সেই রাস্তাগুলি দিয়ে যাতে কোনওভাবেই ভারী যান চলাচল না করে, বিশেষ করে চার চাকা গাড়ি, তার জন্যেও যেন ওই রাস্তাগুলিকে বিশ্বভারতীর হাতে তুলে দেওয়া হয়, সেই আবেদন জানিয়েছেন উপাচার্য।
কারণ, হিসেবে দেখানো হয়েছে যে, সম্প্রতি বিশ্বভারতীকে হেরিটেজ ঘোষণা করা হয়েছে৷ এখানে যে ভবন বা স্থাপত্যগুলি রয়েছে সেগুলি যেন নষ্ট না হয়ে যায়, তার জন্য এই রাস্তা বিশ্বভারতীর প্রয়োজন৷ চিঠিতে তেমনটাই জানিয়েছেন বিশ্বভারতীর উপাচার্য।