১৯৪১ সালের ৭ অগাস্ট প্রয়াত হয়েছিলেন কবিগুরু। কলকাতায় তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়৷ এই ছাতিমতলাতেই রয়েছে গুরুদেবের অসংখ্য় স্মৃতি। পৌষমেলার থেকে শুরু করে ২৫ বৈশাখ, ২২ শ্রাবণ দিনগুলিতে এখানেই বিশেষ উপাসনা হয়৷
আরও পড়ুন: নেই দাদা, ভাবতেই পারছে না একডালিয়া! সুব্রত-হীন পুজো যেন এভারগ্রিন নয়
জানা গিয়েছে, ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই ছাতিমতলার সংস্কার করবে। আপাতত এটি ঘিরে রাখা হয়েছে৷ এর আগেও বেশ কয়েকবার দুর্ঘটনার কবলে পড়ে শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্য নষ্ট হয়েছে। কিন্তু শনিবার সকালে যা ঘটল, তা কল্পনাতীত! জানা গিয়েছে, শাল গাছের আঘাতে ভেঙে গুঁড়িয়ে গেছে ঐতিহ্যবাহী বেদির সেই মার্বেলের আসনটি। গাছের তলায় চাপা পড়েছে সেই ফলক, যেখানে লেখা, 'তিনি আমার প্রাণের আরাম, মনের আনন্দ, আত্মার শান্তি'।
advertisement
আরও পড়ুন: বাড়ির পাশের রাস্তা খারাপ? পুজোর আগেই একটা কল পুরসভায়, পৌঁছে যাবে মোবাইল ভ্যান
শোনা যায়, ১৮৬৩ সালের ১ মার্চ ভুবনডাঙার পুকুর-সহ বছরে ৫ টাকা খাজনার বিনিময়ে ২০ বিঘা জমির মৌরসীপাট্টা নেন মহর্ষি দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর। শান্তিনিকেতন আশ্রম প্রতিষ্ঠার পরে এই ছাতিমতলাতেই উপাসনা করতেন তিনি৷ অর্থাৎ, শান্তিনিকেতন আশ্রম ও বিশ্বভারতী প্রতিষ্ঠার সূত্র বাঁধা এই ছাতিমতলা থেকেই। কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন সময় এখানে উপাসনা, বৈদিক মন্ত্রপাঠ ও বিশ্বভারতীর নানা অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন ৷
ইন্দ্রজিৎ রুজ