রবীন্দ্রভবনে কবিগুরুর নোবেল পদকের রেপ্লিকা সহ তাঁর ব্যবহৃত বহু মূল্যবান সামগ্রী, জামাকাপড়, নিজের হাতে লেখা কবিতা, ছবি, পুঁথি রয়েছে। এছাড়াও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পাঁচটি ঐতিহ্যমণ্ডিত বাড়ি উদয়ন, কোণার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ এবং উদীচী ভবনের সংস্কারের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। আজ থেকে কয়েক বছর আগে প্রয়াত শিল্পপতি রতন টাটার আর্থিক অনুদানে দেশি-বিদেশের পর্যটক ও দেশের প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতির নামেই গণ্যমান্যদের জন্য অতিথিভবন নির্মাণ করা হয়, যা আজও শান্তিনিকেতনবাসীর কাছে রতন টাটার নাম অনুসারে রতন কুঠি নামেই পরিচিত।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ১,২ নয়, গুণে গুণে ২২! এতগুলি বিড়ালের সঙ্গেই সংসার, রোজ কত খরচ হয় জানেন? অঙ্ক শুনলে চমকে যাবেন
বর্তমানে এই ঐতিহ্যমণ্ডিত ভবনটি চালু থাকলেও সংস্কারের প্রয়োজন রয়েছে। এর পাশাপাশি ১৯২৭ সালে উইলিয়াম উইনস্ট্যানলি পিয়ারসনের নামে গড়ে ওঠা পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতালটিকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে উন্নীত করতে চাইছে বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ। এক্ষেত্রেও এই শিক্ষা-বাণিজ্যিক সম্মেলনের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান দিতে এগিয়ে এসেছে ৫টি ব্যাঙ্ক। উল্লেখ্য, উইনস্ট্যানলি পিয়ারসন ছিলেন বিশিষ্ট রবীন্দ্র অনুরাগী। ১৯১৬ সালে তিনি রবীন্দ্রনাথের সচিব হন। পরে জাপান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকবির যাত্রায় সঙ্গীও হন।
উইলিয়াম উইনস্ট্যানলি পিয়ারসনের স্মৃতির উদ্দেশ্য ১৯২৭ সালে বোলপুর শান্তিনিকেতনে গড়ে ওঠে পিয়ারসন মেমোরিয়াল হাসপাতাল। এই হাসপাতালের সংস্কারের পাশাপাশি ঐতিহ্যপূর্ণ ভবন ও হস্টেলগুলির সংস্কার করে হাল ফেরাতে চাইছে বোলপুর শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে এই মুহূর্তে ১০ হাজার ৮৪৭ জন পড়ুয়া রয়েছেন। ৬৬৫ জন অধ্যাপক-অধ্যাপিকা ও ১৪৭ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন। সেই সঙ্গেই ১ হাজার ৮১০ জন অধিকারিক ও কর্মী রয়েছেন। দু’দিনের এই সম্মেলন থেকে বিশ্বভারতীকে শিল্প-কলা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলি থেকে লগ্নি, আর্থিক অনুদান আসার সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় স্বভাবতই খুশি বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ।






